নয়াদিল্লি: আরও ৪টি ব্যাংক বেসরকারি করার দিকে ঝুঁকল কেন্দ্র। সরকারের লাভের খাতিরেই এই ব্যাংকগুলির বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হচ্ছে। তিনটি সরকারি সূত্র থেকে এই খবর জানানো হয়েছে।

এতদিন রাষ্ট্রায়ত্ত থাকার পর ব্যাংকের বেসরকারিকরণের ফলে এক নতুন ঝুঁকি আসতে পারে ব্যাংকিং সেক্টরে। চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল অনেক কর্মীর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, সেকেন্ড টায়ার ব্যাংক থেকে এই প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। যে চারটি ব্যাংকের নাম এখন সরকার শর্ট লিস্ট করেছে সেগুলি হল ব্য়াংক অফ মহারাষ্ট্র, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক ও সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। তবে এখনও এই কথা ঘোষণা করা হয়নি। এর মধ্যে থেকে দুটি ব্যাংককে বেসরকারিকরণের জন্য বেছে নেওয়া হবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে। এপ্রিলে অর্থবর্ষ শুরু হওয়ার পরই ওই দুটি ব্যাংকের নাম জানা যাবে। প্রথম পর্যায়ের বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে সরকার ছোট ও মাঝারি ব্যাংকগুলিকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভবিষ্যতে বড় ব্যংকগুলিও বেসরকারিকরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতের সর্ববৃহৎ ব্যাংক স্টেট ব্য়াংক অফ ইন্ডিয়ার বড়সড় শেয়ার রয়েছে সরকারের হাতে। এটি গ্রামীণ আমানত প্রসারণের মতো ক্ষেত্রে একটি ‘স্ট্র্যাটেজিক ব্যাংক’ হিসেবে কাজ করে। তাই এই ব্যাংক বেসরকারিকরণের দিকে সরকারের না ঝোঁকার সম্ভাবনা প্রবল। শোনা গিয়েছে দেশের বেশিরভাগ ব্যাংককে যাতে দ্রুত বেসরকারিকরণ করা যায় তেমনই চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এতে সমস্যা হতে পারে প্রবল। বাধা আসতে পারে ব্য়াংকে কর্মচারী সংগঠনের দিক থেকে। তাই ধীরে ধীরে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির। সরকারের বক্তব্য ব্যাংকের কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এর বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের দাবি সম্পূর্ণ উলটো। তাদের মতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে শাসকদল।

এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এ বছর বাজেট পেশের সময়ই সরকারি ব্যাংকের বেসরকারিকরণের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ক্রমশ সেই পথেই এগোচ্ছে কেন্দ্র।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।