সিরাম ইনস্টিটিউটের মাথায় জুড়ল নতুন মুকুট। বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য অনুমতি মিলল হু থেকে। কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন নিম্ন–আয়ের দেশগুলিতে বন্টনের জন্য সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন, যা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট প্রস্তুত করছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাস্ট্রাজেনেকা–এসকেবায়ো ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের তালিকা (ইইউএল)–র জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন যে নিম্ন–আয়ের দেশগুলির জন্য ভ্যাকসিনের প্রত্যেকটি ডোজ ৩ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ২১৮ টাকা) বিক্রি করা হবে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ছাড়াও, হু ৩১ ডিসেম্বর জরুরী ব্যবহারের জন্য ফাইজার এবং বায়োএনটেকের কোভিড–১৯ শটকে তালিকাভুক্ত করেছে। হুয়ের কৌশলগত পরামর্শদাতার বিশেষজ্ঞের গোষ্ঠী (সেজ) টিকা দেওয়ার বিষয়ে ৮ ফেব্রুয়ারী ভ্যাকসিনটি পর্যালোচনা করার পরে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেজ ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য এই ভ্যাকসিনের পরামর্শ দিয়েছে।
হু–এর তরফে ডঃ মারিযঅ্যাঞ্জেলা সিমাও জানিযেছেন, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের যে দেশগুলি করোনার টিকা সংগ্রহ করতে পারেনি, তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের আওতায় আনতে সাহায্য করবে এই উদ্যোগ। উল্লেখ্য, ভারতে করোনার টিকাকরণ পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি করছে পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট। কোভিশিল্ড জরুরি ভিত্তিতে ভারতে প্রয়োগ শুরু হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে। এছাড়াও হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর তৈরি কোভ্যাকসিনের প্রয়োগও চলছে দেশে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত করোনার আরও ৩-৪টি টিকা ভারতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই টিকাগুলি পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে।
মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের সব দেশকে করোনার টিকাকরণের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটকে সেই কর্মসূচির মধ্যে এনে ফেলল হু। ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১৯০টি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। এই প্রতিটি দেশেই করোনার টিকাকরণ নিশ্চিত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার খবর একনজরে