স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: মৌলালিতে পুলিশ কর্মীকে মারধরের অভিযোগে ২৫০ জন বাম ছাত্র-যুব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ৷ মঙ্গলবার সকালে এই মামলা রুজু হয়েছে৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩২৪, ৩৩২ ধারা অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, নিগ্রহের মতো অভিযোগে এই মামলা।সূত্রের খবর, এই তালিকায় রয়েছেন এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি পুলিশকে মারার অভিযোগ রয়েছে।
DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার এন্টালির দীনেশ মজুমদার ভবনের সামনে জমায়েত করেছিলেন বাম ছাত্র-যুবরা। আচমকাই সেখানে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র-যুবরা। কর্তব্যরত অবস্থায় তালতলা থানার ASI-কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। মাথার পিছন থেকে তাঁকে আঘাত করতে দেখা যায় এক বাম ছাত্রকে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় উর্দি। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মৌলালিতে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলকাতার ব্যস্ততম ওই এলাকা। দীর্ঘক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
SFI এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের দাবি, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই কারণেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তাঁদের কর্মীরাই উদ্ধার করে পুলিশকে। তাঁর আরও দাবি, ‘আমাদের জন্যই পুলিশ আজ রক্ষা পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মানুষ খুন করতে পারেন। লজ্জা নেই তাঁদের। এতবড় ঘটনার পর কটাক্ষ করতে এসেছিলেন। উত্তেজিত বাম ছাত্রদের প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।’ ময়নাতদন্ত নিয়ে একেকবার একেকরকম মন্তব্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সোমবার সকালে DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রত্যেকে। পুলিশ ও রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নানরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। যুবকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচির ডাক দেয় DYFI। সূত্রের খবর, আগামী ১৭ তারিখ থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। ১৮ তারিখ রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে এসএফআইয়ের তরফে। পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বাম নেতৃত্ব। এদিকে, ময়নাতদন্তে দেরি হলে মইনুলের দেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আবদুল মান্নান-সুজন চক্রবর্তীরা৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.