নবান্ন অভিযানে যুবনেতার মৃত্যু, নির্বাচনের আগে টানা কর্মসূচি বামেদের

পুলিশের লাঠির আঘাতে যুব নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর অভিযোগ করে, ঘটনার তদন্ত দাবি করে, বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে বাম ছাত্র-যুবরা। একদিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি যেমন রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য জুড়ে রেল অবরোধেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মৃত্যুর ঘটনায় তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হতে চলেছে।

১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে মৃত ১, নিখোঁজ ১

চাকরির প্রতিশ্রুতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকারসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ১০ টি বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন। যোগ দিয়েছিল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনও। মিছিল শুরু হয়েছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে। ডোরিনা ক্রসিং-এ পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। এই ডোরিনা ক্রসিং-এ পৌঁছতেই ব্যারিকেডের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাম ছাত্র-যুবরা। সেই সময় পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। যেখানে পুলিশের লাঠি চালানোর কথা কোমরের নিচে। সেই পুলিশকে লাঠি চালাতে দেখা যায় মাথার ওপরে, কোমরের ওপরের অংশে। পুলিশের লাঠিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরে মইদুল ইসলাম মিদ্দা। এছাড়াও প্রকাশিত খবর অনুযায়ী সেদিন পুলিশের লাঠিতে চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের পিয়াশিস ভট্টাচার্যের। ১৫ ফেব্রুয়ারি মইদুলের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে পিয়াশিসের বাঁচোখে দৃষ্টিশক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ডোরিনা ক্রসিং-এ পুলিশের লাঠিচার্জের পর থেকে নিখএাঁজ হয়ে গিয়েছেন পাঁশকুড়ার দীপক পাঁজা। বামেদের অভিযোগ পুলিশের অপরিকল্পনার ফলেই এই পরিস্থিতি।

সোমবার নিশানায় ছিল পুলিশ

সোমবার মইদুল ইসলাম মিদ্দার ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু ময়নাতদন্ত করতে বেশি সময় লাগার অভিযোগ তোলেন বাম ছাত্র-যুবরা। মৌলালিতে বিক্ষোভে সামিল হয় বাম ছাত্র-যুবরা। পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে পাল্টা পুলিশের ওপরে হামলার অভিযোগ ওঠে। সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সৃজন ভট্টাচার্য, কলোতান দাশগুপ্তরা। কিন্তু পুলিশকে মারধরের ঘটনায় এই দুই নেতা-সহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩২৪ ও ৩৩২ ধারায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও নিগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বামেদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি

১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের বিরুদ্ধ বর্বর আক্রমণের অভিযোগ করে ১৭ ফেব্রুয়ারি বামেদের তরফে রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। বিকেল চারটেয় এই কর্মসূচি শুরু হবে। সেই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজ্য ফের উত্তাল হতে পারে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

১৮ ফেব্রুয়ারি রেল অবরোধ

পাশাপাশি ১৮ ফেব্রুয়ারি রেল অবরোধেরও ডাক দেওয়া হয়েছে বামেদের তরফে। এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা বেলা ১১ টায়। বাম ছাত্র যুবদের তরফে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

তৃণমূল জমানায় দুর্নীতি শতগুণ বেড়েছে, মমতা-অভিষেককে নিয়ে বিস্ফোরক দীনেশ ত্রিবেদী

More CPIM News