নয়াদিল্লি: আরও এক বলিউড অভিনেতার রহস্যমৃত্যু। মু্ম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার অভিনেতা সন্দীপ নাহারের দেহ। সন্দীপ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যেই আত্মহত্যার মামলা দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে ‘এম এস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’-তে অভিনয় করেছিলেন সন্দীপ।

বলিউডে ফের শোকের ছায়া। এবার আরও এক তরুণ অভিনেতার রহস্যমৃত্যু। মৃত্যুর আগে একটি ভিডিও পোস্ট করে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন এই অভিনেতা। নিজের স্ত্রীর উপর একরাশ ক্ষোভ, অভিমান ঝরে পড়েছিল তাঁর গলায়। তবে যে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন সেটা ভাবা যায়নি। বড় পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি সন্দীপ ছোট পর্দার একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘কেশরী’ ছবিতেও দেখা গিয়েছিল সন্দীপকে।

ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে সন্দীপ বলেছেন, ‘‘আমার স্ত্রী কাঞ্চন শর্মার সঙ্গে আমার প্রায়ই ঝামেলা হয়। ও আমার সঙ্গে ৩৬৫ দিনই ঝগড়া করে। বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও কিছু লাভ হয়নি। ও আমার ব্যক্তিগত জীবনে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা তৈরি করেছে। যা নিয়ে আমি ভীষণ সমস্যায় রয়েছি। আপনারা আমাকে কয়েকটি ছবিতে দেখেছেন। আমি এম এস ধোনিতে ছোটু ভাইয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার রোজ ঝগড়া হয়। ও আমার পরিবারের সদস্যদেরও অপমান করে। আমাকে সন্দেহ করে ও আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এমনকী ও আত্মহত্যা করলে আমাকে দায়ী করে যাবে বলেও জানিয়েছে। ওর মা ওকে সমর্থন করে। এর আগে বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল।’’

এরই পাশাপাশি পেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে সন্দীপ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন। শুধুমাত্র মায়া হয়েছিল বলেই সন্দীপ তাঁর স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই ভিডিও পোস্টে।

এদিকে, তাঁর মৃত্যুর আগে এই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে তিনি নিজেই যে আত্মহত্যা করবেন সেটা জানাননি সন্দীপ। তাঁর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধারের পর সব দিক খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। সন্দীপের বন্ধু ও আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। একইভাবে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন তদন্তকারী অফিসাররা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।