বেঙ্গালুরু: করোনা চলে গেছে বলে একটু গা ছাড়া দিতেই চরম বিপদ। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে একটি অ্যাপার্টমেন্টেই খোঁজ মিলল ১০৩ জন করোনা আক্রান্তর। ওই বহুতলটিকে ইতিমধ্যেই কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই রেসিডেন্সিয়াল সোসাইটিতে বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পর পর দু’দিন পার্টির আয়োজন করতেই কোভিড কেস বাড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিলেখালী এলাকার এসএনএন রাজ লেকভিউ অ্যাপার্টমেন্টে এঘটনা ঘটেছে।

শেষ কয়েকদিনে পর পর প্রায় ২৪ টি করোনার কেস সামনে আসার পরেই জেলা প্রশাসন ওই অ্যাপার্টমেন্টে গত সপ্তাহে মাস টেস্টিং শুরু করে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক জেলা আধিকারিক জানান, “আমরা হঠাৎ করেই করোনার সংখ্যা বাড়তে দেখি। ১১ ফেব্রুয়ারি ৭ জন আক্রান্তের খবর জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারি ১৭ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। এরপরেই আর দেরি না করে ১৩ তারিখই সেখানে টেস্টিং এর জন্য হাজির হয় ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে। ৩৯৯ টি বাড়িতে মোট ১১৯০ জনের টেস্টিং করা হয়। এরমধ্যে ১০৩ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এঁদের মধ্যে ১ জন হাসপাতালে ভর্তি।

আধিকারিক জানান, তাঁদের কাছে রিপোর্ট এসেছে যে ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। অন্যদিকে ড: কৃষ্ণাপ্পা জানিয়েছেন, “আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই বয়স ৫০ এর নীচে।”

ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকের জয়েন্ট কমিশনার বোমানাখাল্লি রামকৃষ্ণা জানিয়েছেন, ওই বিল্ডিংটি পুরো স্যানিটাইজ করা হয়েছে। এবং প্রত্যেক বাসিন্দাকে পরবর্তী নোটিশের আগে অবধি আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার ভারতে মিলেছে করোনার নয়া স্ট্রেইনের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের করোনা স্টেইনের খোঁজ মিলেছে ভারতে। এই স্ট্রেইন আরও বেশি সংক্রামক। আক্রান্তরা প্রত্যেকেই অবশ্য ট্যুরিস্ট। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, চারজনের শরীরে মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা স্ট্রেইনের। অন্যদিকে একজনের শরীরে মিলেছে ব্রাজিলের করোনা স্ট্রেইনের। ৫ জনকেই বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।