মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে বিতর্ক। বামেদের দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও পুলিশের পালটা দাবি, পা ছাড়া শরীরে আরও কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে, মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে নানা প্রশ্ন। আর বিতর্কের মধ্যে সংখ্যালঘু তাস বিজেপির। একই সঙ্গে বাম আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা বিজেপি নেতার।
বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। আর এরই মধ্যে নবান্ন অভিযানে গিয়ে আঘাতে মৃত্যু যুব নেতার। তাও আবার সংখ্যালঘু যুবকের মৃত্যু। আজ মিদ্দার মৃত্যুর ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলে মারা গেল। আর এর সমস্ত দায় মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে।
ঘটনার পরেই সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেন রাজীব। বিজেপির সভামঞ্চ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় বামেদের পাশে থাকার বার্তা দেন রাজীবের। তিবি বলেন, ঘটনা বেদনাদায়ক। কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন রাজীব। তাঁর মতে, গণতন্ত্রে যে কোনও দল করতে পারেন। তাই বলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ পেটাবে?
সোমবার সন্ধ্যায় বিজেপির একটি সভায় যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী থাকালীন জ্যোতিবসু কিংবা বুদ্ধবাবুর পুলিশের বিরুদ্ধে বরাবরই বর্বরোচিত আক্রমণের অভিযোগ তুলতেন। সেই সময় রাস্তায় নামতেন, আন্দোলন করতেন। কিন্তু আজ এই ঘটনায় নীরব! মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর এই মুহূর্তে গদিতে থাকা উচিত নয় বলে দাবি রাজীবের।
এদিন সকালে মইনুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর পরে সংবাদ মাধ্যমের তরফে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। প্রথমে তিনি বলেন, এই মৃত্যু দুঃখজনক। তবে ওরা ডেডবডি চাইছিল। কেননা তিনি (সুব্রত) বামেদের চেনেন গত ৫০ বছর ধরে। ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সেরকম কিছুই করেনি বলে দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি এই ঘটনাকে আত্মহত্যার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, কেউ আত্মহত্যা করলে কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেন, অতিবিপ্লবী হওয়ার জেরেই এই মৃত্যু। যদিও এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করা হয়েছে বামেদের তরফে।
তবে মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। বামেদের দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে যুবনেতার। তবে পালটা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, পা ছাড়া মৃতদেহে বাহ্যিক কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ফলে মৃত্যু নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও এখন ভরসা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপরেই। যদিও ইতিমধ্যে মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্ব এবং পরিবারের হাতে।