স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিধানসভা ভোটের মুখে বড়সড় বিনিয়োগ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে৷ মুম্বইয়ের হীরানন্দানি গোষ্ঠী সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে৷ সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন৷
এই বৈঠকের পর হীরানন্দানির গোষ্ঠীর ঘোষণা, কলকাতার কাছেই লজিস্টিক ও ডেটা পার্ক তৈরি করবেন তাঁরা৷ তাঁদের দাবি, ১০০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য মৌ সাক্ষর হয়েছে৷ সম্ভাব্য লগ্নি হবে ১০ হাজার কোটি টাকা৷ এর ফলে বাংলায় কয়েক হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে আশা জাগছে৷
দ্রুত শিল্পায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ‘৪২০০ কোটি টাকা খরচ করে রাজ্য সরকার তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করবে। সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তুলছে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দফতর৷ এছাড়াও পানাগড়ের শিল্প পার্কে ৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে, সেখানে গড়ে উঠবে ফুড প্যাকিং শিল্প। ইতিমধ্যেই সেখানে ৩৮ একর জমি নিয়েছে ধানুকা গ্রুপ।
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, রাজ্য সরকার সেখানে ১০ থেকে ৩০ কাঠা জমি নিতে পারবে যে কোনও সংস্থা। এছাড়া নিজের সাধের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি নিয়েও ঘোষণা করেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, ‘নিটাউনে ২০০ একরের উপর জমিতে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি প্রকল্পটি চালু হয়েছে। ২৪টি আইটি কোম্পানিকে ৭৯ একলর জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ১১,৩১৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ আসবে। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রোর মতো সংস্থা আসছে সেখানে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন,, ‘ডানকুনি থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুর হয়ে আসানসোল পর্যন্ত, অন্যদিকে বড়জোড়া-বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর পর্যন্ত বিশেষ করিডোর তৈরি করা হচ্ছে। এই করিডোর রাজ্যের প্রথম শিল্পনগরী হবে যেটি ডাব্লুবিআইডিসি-র গড়ে তুলবে। ২,৪৮৩ একর জমির উপর তৈরি হবে এই শিল্পনগরী। এই শিল্পনগরীর নাম হবে ‘জঙ্গল সুন্দর কর্মনগরী’।’ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘এই প্রকল্পগুলির ফলে বাংলার যুব সম্প্রদায়ের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনই পরোক্ষভাবে আরও শিল্প গড়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
উল্লেখ্য, সোমবারই রাজারহাট ও কল্যাণী-সহ চারটি আইটি পার্ক ও তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.