লন্ডন: ঘর সাজানোর জন্য অনেকেই কাঁচের গোলাকার বল কেনেন। আপনারও কি এমন শখ আছে? শখ থাকুক বা না থাকুক জানতে দোষ কী? বিক্রি হচ্ছে মহাকাশ থেকে পড়া উল্কা। তবে এটি যে সে উল্কা না। এরমধ্যে জ্বলজ্বল করছে ‘এলিয়েন’ পাথর। তবে বেশ কয়েকটি পাথর আবার রয়েছে নিস্প্রভ, রুক্ষ। বেশ কিছু পাথর রয়েছে কোটি কোটি বছর পুরোনো। এই ‘এলিয়েন’ পাথরই বিক্রির জন্য লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে কাঁচের বলে গায়ে। জেনে নেওয়া যাক কখন নিলাম হবে এই অত্যাশ্চর্য জিনিস। আর এটি কিনতে কত টাকাই বা লাগবে।
বিশ্বজুড়ে পড়া ছোট ছোট উল্কা দিয়ে তৈরি এই কাঁচের বল নিলাম করছে হাউস ক্রিশ্চিজ। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ইতিমধ্যেই এই নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অনলাইনে এই নিলাম চলছে। সুতরাং যে কেউ ওই সংস্থার সাইটে গিয়ে নিলামে অংশ নিতে পারেন।
এই কাঁচের বলের উল্কাগুলি সিমচৈন উল্কা গোত্রের। এটি ১৯৬৭ সালে জুনে সাইবেরিয়ায় আছড়ে পড়েছিল এই উল্কা। তবে শুধু যে একটি এই উল্কার পাথর দিয়ে এই কাঁচের বল বানানো হয়েছে তা ভাবা কিন্তু ভুল। এ ছাড়াও এই স্ফটিকে অনেক মূল্যবান এলিয়েন পাথর বসানো রয়েছে। এলিয়নের অর্থ কিন্তু মোটেই এই না যে, এগুলি আসলে এলিয়নের পাথর। আসলে এগুলি এমন কিছু জায়গা থেকে এসেছে, যার হদিশ মানুষ এখনও জানে না।
সাহারা মরুভূমিতে পড়া ১৬ টি উল্কা পিণ্ডের টুকরো। ব্রাজিলে পড়া বেশ কিছু উল্কাপিণ্ডের টুকরো দিয়ে এই কাঁচের গোলক তৈরি হয়েছে। নিলাম আয়োজককারী সংস্থা জানাচ্ছে, এর দাম উঠতে পারে ৩,৫০,০০০ ডলারে অর্থাৎ ২.৫৪ কোটি টাকায়। নিলামের আগে দ্য মেটেরিটিকাল সোসাইটি এই পাথরগুলি পরীক্ষাও করেছে। এরফলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে ওগুলি আসলেই এলিয়েন পাথর।
৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই নিলাম প্রক্রিয়ায় এখন অবধি ওই এলিয়েন পাথরের তৈরি কাঁচের বলের দাম উঠেছে ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কত দামে বিক্রি হয় এলিয়েন পাথরের কাঁচের বল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.