কলকাতা: ধর্ম শব্দটি বোধ হয় যে কোনো মানুষের কাছে অন্যতম সেন্টিমেন্টাল ব্যাপার। ধার্মিক ব্যক্তিরা ছাড়াও ধর্ম নিয়ে ভাবে না চর্চা করে না বা নেহাত ঠাকুর-দেবতা মানে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুস্কর। সব ধর্মের মানুষের মধ্যেই তাদের ধর্ম নিয়ে যেমন আলাদা গর্বের স্থান আছে তেমন অন্য ধর্মের প্রতি জ্ঞান আহরণের প্রবৃত্তিও থাকে। কিন্তু বিভিন্ন ধর্মের উৎপত্তি তো তখন হলো যখন একটি মূল ধর্ম এলো পৃথিবীতে। সেই ধর্মটি কী এবং কবে কীভাবে প্রথম এলো পৃথিবীতে তা জানতে চান? ইতিহাস বলছে, প্রাচীন তুরস্ক থেকে ইরান পর্যন্ত প্রথম কৃষিকাজ শুরু হয়েছিল বিস্তীর্ন অববাহিকা জুড়ে। বন্য মানুষ আদিমতা ত্যাগ করে এভাবেই গৃহস্থ হয়ে উঠতে শেখে। ধীরে ধীরে কৃষি ও পশুপালনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ব্যবসা ও নগর। সেই নগর সভ্যতা থেকেই আসে রাষ্ট্র ও ধর্ম বিশ্বাস। যদিও তার আগে আফ্রিকার যাযাবর গোষ্ঠীরা দৃশ্য ও অদৃশ্য বস্তু এবং শক্তিকে মানত মনে-প্রাণে। তবে ঐতিহাসিকরা বলেন যে নগর সভ্যতার উন্নতির সাথেও সাথেই মানুষের মধ্যে বিবেক ও বুদ্ধির বিকাশ হতে থাকে যা থেকে উৎপত্তি হয় ধর্মের। কিন্তু এই ধারণা যে ভুল তা দেখিয়েছে গোবেকলে তেপে। কী এই জিনিস?
কুঁড়েঘর থেকে মানুষ যখন ক্রমেই সভ্যতার দিকে অগ্রসর হয় তার অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন এটি। এখন এটি রয়েছে দক্ষিণ তুরস্কের কাছে। এটিকে উপাসনালয় বলা হয়ে থাকে। আগের যুগের লোকেরা এখানে তাদের উৎপন্ন ফসল নিয়ে দেবতাকে উৎসর্গ করতে আসতো। বিশালাকায় মন্দিরের মাত্র ১০% উদ্ধার করা গিয়েছে। পাথর সাজিয়ে ও তাতে দেবতার মূর্তি খোদাই করে উপাসনালয়টি তৈরি। মন্দিরের মূল স্তম্ভের নিচে খোদাই করা রয়েছে সাপ, শকুন, বরাহ ইত্যাদির মূর্তি। একটি পুরোনো মন্দির ভেঙে গেলেই নতুন আবার তৈরি করা হতো সেখানে। শেষে ১০,২০০ বছর আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ধ্বংস হয়ে যায় মন্দির। মন্দিরে জীবজন্তুকেই উপাস্য দেবতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এরপর থেকে সভ্যতার আরো উন্নতির সাথে সাথে ধর্মের ধারণা পাল্টেছে।
আরো পড়ুন: মসজিদে বসতে বীণাপাণি
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.