কয়েকদিন আগেই সদস্যপদে একাধিক বড়সড় অনিয়মের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় দিল্লির বিখ্যাত জিমখানা ক্লাবের ওয়ার্কিং কমিটির বোর্ড। কড়া বার্তাও দেওয়া হয় ন্যাশান্যাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল বা এনসিএলটি-র তরফে। পাশাপাশি সমস্ত অনিয়মএর অভিযোগ যাচাই, পর্যবেক্ষনের জন্য একজন প্রশাসকও নিয়োগ করা হয় এনসিএলটি-র তরফে। যা নিয়ে তীব্র চাপানৌতর শুরু হয়েছিল দিল্লির রাজ্য-রাজনীতিতে। এমতাবস্থায় এবার রাজধানীর এই শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক প্রাইভেট ক্লাবটির ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হয় বিস্তর জল্পনা।
এদিকে এই ঘটনার পরেই সম্প্রতি কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়। ওই বিবৃতিতেই কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ডাইরেক্টর জেনারেল জানান তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হচ্ছে মনমোহন জুনেজাকে। কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের তরফেই বিশেষ নির্দেশিকার পরেই অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিতে রাখা হচ্ছে এই বর্ষীয়ান আমলাকে। এমনকী এই ক্ষেত্রে ন্যাশান্যাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালেরও অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্লাবটির পরিচালনা, সদস্যপদ গ্রহণ সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বড়সড় বৈষম্য সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসতে দেখা যায় এনসিএলএটি-কে। এমনকি সোমবারই তড়িঘড়ি ক্লাবটির বর্তমান গভর্নর কাউন্সিলকেও বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। এমনকী ট্রাইবুনালের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, “ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমনকী তদন্ত প্রক্রিয়ার পুরো রিপোর্ট সামনে না আসা পর্যন্ত এই ক্লাবের গভর্নিং কাউন্সিলকে বাতিল করা হল।বাকী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রের তরফে শীঘ্রই একজন প্রশাসক নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হবে।” যদিও জিমখানা ক্লাবের প্রশাসক হিসাবে মনমোহন জুনেজার নিয়োগ তখনই কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।