কলকাতা: বিজেপি (bjp)নেতা মুকুল রায়ের (Mukul Roy)প্রতিশ্রুতিতে অনশন প্রত্যাহার করলেন পার্শ্বশিক্ষকদের৷ তবে চলবে অবস্থান৷ কাল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন পার্শ্বশিক্ষকরা(para teacher)৷
মঙ্গলবার পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান মঞ্চে এসে বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)বলেন,‘বিজেপি (BJP)ক্ষমতায় এলে আর বঞ্চনা নয়,’৷ এই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরই পার্শ্বশিক্ষকরা তাদের অনশন প্রত্যাহার করে নেন৷ সরস্বতী পুজোর প্রসাদ খেয়ে অনশন ভাঙানো হয়৷
বিধাননগরে বিকাশ ভবনের অদূরে চলছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের অবস্থান৷ ৬০ দিন ধরে চলছে অবস্থান৷ আর ১১ দিন ধরে চলছে অনশন৷ সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের স্থায়ীকরণ সাপেক্ষে বেতন কাঠামো দিতে হবে৷ শিক্ষকতার পাশাপাশি ভোটের সময়ও আমাদের কাজ করতে হয়৷ বুথ স্লিপ দেওয়া-সহ নানা কাজে ভোটের সময়ে আমাদের ভূমিকা থাকে।
এদান অবস্থান মঞ্চেই সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেন পার্শ্বশিক্ষকরা। যাবতীয় আচার মেনেই পুজো হয়েছে৷ কেন সরস্বতী পুজো ?তার উত্তরে আয়োজকরা জানালেন বাগদেবীর আরাধনা ছাত্ররা যেমন করে, তেমন আমরাও প্রতি বছর করি। এই বছর ধরনায় বসে আছি। তাই, নিজেদের জায়গায় পুজো করতে পারছি না। তাই, আমরা শিক্ষকরা এই অবস্থান মঞ্চেই সরস্বতী পুজোর আয়োজন৷
সোমবার পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান- অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন বিমান বসু৷ তার সঙ্গে ছিলেন সিপিআইয়ের স্বপন বন্দোপাধ্যায়, আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্য ও ফরওয়ার্ড ব্লকের হাফিজ আলি সাইরানি। এর আগেও বিরোধাী অনেক নেতা এই অবস্থান মঞ্চে এসেছিলেন৷
আন্দোলনকারীদের বিমান বসু বলেছিলেন, আপনাদের মধ্যে তিন জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। খুব কঠিন পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্যে এই লড়াই আপনাদের করতে হচ্ছে। রাজ্য সরকারকে আমি ধিক্কার জানাই। ১০ দিন ধরে আপনারা অনশন করছেন। এর মধ্যে সরকারের কাছ থেকে কোনও বার্তা আপনাদের কাছে আসেনি।’
অন্যদিকে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ফি বছর তিন শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি ও অবসরের পর এককালীন তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণার বাস্তবায়ন করলেও তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.