সেওল: করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি এমনই একটি অভিযোগ তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের বক্তব্য, করোনার টিকা সংক্রান্ত তথ্য চুরি করতে ফাইজারের তথ্যভান্ডারে হামলা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
করোনা সংক্রান্ত তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য যথোপযুক্ত চেষ্টা চালায় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। আর এখন হ্যাকিং গ্রুপগুলি সেই সব ডেটা বেসেই আক্রমণ হানছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা এজেন্সি ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’ অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা ফাইজারের তথ্য ভান্ডারে হামলা চালিয়েছে। পার্লামেন্টারি ইন্ট্যালিজেন্স প্যানেলের বিরোধী সদস্য হা তে-কেয়ুং জানিয়েছেন, টিকা সংক্রান্ত তথ্য ও চিকিৎসা পদ্ধতি চুরি করার জন্য একটি বড় হ্যাকিং নেটওয়ার্ক রয়েছে। তারা সাইবার অ্যাটাক করছে। ফাইজারের তথ্য ভান্ডারে ইতিমধ্যেই সাইবার অ্যাটাক হয়েছে।
তবে সাইবার হানার সময় নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। হ্যাকাররা তাদের লক্ষ্যে সফল হয়েছে কিনা, জানাননি তাও। তবে হ্যাকিং যে হয়েছে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনও সাইবার হানার অভিযোগ উঠল, এমন নয়। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। গত বছর জনসন অ্যান্ড জনসন, নোভ্য়াক্স, অ্যাস্ট্রজেঙ্কা সহ একাধিক মেডিসিন হাবের তথ্য ভান্ডার হ্যাকিংয়ের অভিোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে।
করোনা ভ্যাকসিনের জন্য যবে থেকে গবেষণা শুরু হয়েছে তবে থেকে হ্যাকারদের নজরে রয়েছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অভিযোগ উঠেছিল স্পেনের একটি ল্যাবে সাইবার হামলা চালিয়েছে চিনা হ্যাকাররা। চুরি করা হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের রিসার্চ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। তবে এই পরিস্থিতি কীভাবে তৈরি হল, ঠিক কোন ধরণের তথ্য চুরি যায় বা কবে হ্যাক করা হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। স্পেনের গুপ্তচর সংস্থার প্রধান পাজ এস্তাবান বলেছলেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সাইবার হামলা হয়েছে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্যের হদিশ পেয়েই হামলা চালিয়েছে চিনা হ্যাকাররা। তিনি এও বলেন, নির্দিষ্ট ভাবে যে স্পেনকেই টার্গেট করা হচ্ছ, তা নয়। যে সব দেশ বিশেষ ভাবে করোনার ভ্যাকসিন বের করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ও প্রায় সফল হয়েছে, সেই সব দেশগুলির ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য জানতেই হ্যাকিং করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.