মুম্বই: টাটা গোষ্ঠীর অনলাইন গ্রোসারি সংস্থা বিগ বাস্কেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৬৮ শতাংশ মালিকানা কেনার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়। যা কেনা হতে চলেছে ৯৩০০-৯৫০০ কোটি টাকায়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম তেমনটাই জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিগ বাস্কেটের মোটামুটি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩,০০০ কোটি টাকা।
এই লেনদেনের ফলে এই অনলাইন সংস্থাটির লগ্নিকারী হিসেবে আলিবাবা, আবরাজ এবং আইএফসির প্রস্থান প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ৪-৫ সপ্তাহের মধ্যে । কারণ এই বিষয়ে কম্পেটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে ওই প্রতিবেদন জানাচ্ছে।এরপরেও কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও হরি মেনন সংস্থার বোর্ডে থাকবেন। তবে এই ঘটনা সম্পর্কে টাটা গোষ্ঠীর অথবা বিগ বাস্কেটের কোনও প্রতিনিধি কিছু জানাননি।অনলাইন গ্রোসারি ব্যবসায় বিগবাস্কেট বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। সেক্ষেত্রে আবার টাটা গোষ্ঠীর এই সংস্থা মালিকানা নেওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল স্পেসে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিতে চলেছে বলে বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত ।
দেখা গিয়েছে, গত এক বছরে এই অনলাইন গ্রোসারি বাজার রীতিমতো বিস্তার হতে দেখা গিয়েছে। ২০১৯ সালের ১.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২০ সালে এই ক্ষেত্রে বাজার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বার্ষিক বৃদ্ধি ৫৭ শতাংশ। আশা করা হচ্ছে এই ক্ষেত্রের ব্যবসার পরিমাণ ১৮ বিলিয়নে পৌঁছবে ২০২৪ সালে।
টাটা, অ্যামাজন, রিলায়েন্স সহ বড় বড় শিল্পগোষ্ঠীর নজর পড়ছে এখন ই-গ্রোসারির দিকে। আগামী দিনে খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রে এই ক্ষেত্রেটার গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই অনলাইন গ্রোসারি ব্যবসায় যেভাবে বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী প্রবেশ করতে চাইছে তাতে আগামী দিনে বিগ বাস্কেটকে এই ব্যবসা চালানোর জন্য রীতিমতো অর্থের প্রয়োজন হবে। এমন পরিস্থিতিতে টাটা গোষ্ঠীকে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে বিগবাস্কেট নিয়ে আসাটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সুপার মার্কেট গ্রোসারি সাপ্লাইজ যা বিগবাস্কেট চালায় সেই সংস্থাটির ২০২০তে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে ক্ষতি হয়েছিল ৬১১ কোটি টাকা যা তার আগের অর্থ বর্ষের হওয়া ক্ষতি ৫৭২ কোটি টাকার থেকে ৬.৭ শতাংশ বেশি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এই অনলাইন গ্রোসারি সংস্থাটির ক্রেতার পরিধি অনেক বিস্তার হয়েছে। বিগবাস্কেট আগেই জানিয়েছিল, করোনার আগের পরিস্থিতির তুলনায় বর্তমানে নতুন গ্রাহক ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং পুরনো ক্রেতাদের ৫০ শতাংশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। বর্তমানে এই সংস্থাটি প্রতি মাসে গড়ে ২০ মিলিয়ন অর্ডার পায় এবং গত বছরে বার্ষিক আয় হয়েছিল ১ বিলিয়ন ডলার ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.