কলকাতা: আজ সরস্বতী পুজো। ঘরে-ঘরে আজ বাগদেবীর আরাধনা। করোনাকালেও বিদ্যার দেবীর আরাধনায় ভাঁটা পড়েনি। রাজ্যের নানা প্রান্তে সাড়ম্বরে পালন করা হচ্ছে সরস্বতী পুজো। তবে অন্যবারের মতো এবার আর স্কুল, কলেজে উৎসবের মেজাজ নেই।
বরং অনেক কড়াকড়ি নিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এবার অনেক বেশি সাবধানী। মুখে মাস্ক পরে ও হাতে স্যানিটাইজারের বোতল বনিয়ে স্কুলমুখী পড়ুয়ারা। নিষ্ঠা ভরে দেবী-প্রণাম। পড়াশোনার জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি করোনা চিরতরে দূর করার আকুতি বাগদেবীর কাছে।
নিউ নর্মালে স্কুল, কলেজে বাণী বন্দনার আয়োজনে কড়াকড়ি রয়েছে। তবে পুজোর আনন্দে ভাঁটা পড়তে দিতে রাজি নন পড়ুয়ারা। ছাত্রছাত্রীরা মাস্ক আর স্যানিটাইজার সঙ্গে নিয়েই স্কুলে গিয়েছে। সেখানেই হয়েছে পুষ্পাঞ্জলি। তবে এবার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পাত পেড়ে ভোগ খাওয়ানোর আয়োজন করেনি। বরং প্যাকেট ভর্তি ভোগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে রাজ্যজুড়ে উত্সবের আমেজ।
করোনা ভুলে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে চেষ্টায় খামতি নেই। একটু বড়দের পাশাপাশি সরস্বতী পুজোর সকাল থেকেই শাড়ি পরে খুদে কন্যারাও বাবা-মা ও বড়দের হাত ধরে মণ্ডপমুখী। কেউ গেল স্কুলে, কেউ আবার অন্য কোনও মণ্ডপে। একটানা ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সবেমাত্র দিন কয়েক হল খুলেছে স্কুল। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এখনই স্কুলে সব ক্লাস শুরু হয়নি। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলছে। তাও একসঙ্গে একটি ক্লাসে বেশি সংখ্যাক পড়ুয়াকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
আগের চেয়ে স্কুলগুলিতে বেড়েছে সেকশনের সংখ্যাও। তবে বহু স্কুলই করোনাকালে ক্লাস চালানো নিয়ে সমস্যা পড়েছে। বেশি সংখ্যাক সেকশেনর ব্যবস্থা করতে গিয়ে বিপত্তি তৈরি হয়েছে। অনেক স্কুলই সেকশন প্রতি শিক্ষক-শিক্ষিকা রাখতে সমস্যায় পড়ছে।
অন্যদিকে, ছাত্রছাত্রীদের উপরেও সর্বক্ষণ নজরদারি চালাতে হচ্ছে। তাঁরা যাতে কোভিড প্রোটোকল মেনে স্কুলে চলাফেরা করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে। এই আবহেই এবার স্কুলে-স্কুলে সরস্বতী পুজোর আয়োজন। বিধি নিষেধ থাকলেও উৎসবের আনন্দে ভাঁটা পড়তে দিতে চায় না পড়ুয়ারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.