দেরিতে হলেও চেনা ছন্দে ফিরল বেঙ্গালুরু এফসি। চলতি আইএসএলের সবচেয়ে শক্তিশালী দল মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে লড়াকু জয় পেলেন সুনীল ছেত্রীরা। গোলের ব্যবধানে ম্যাচের ফয়সলা নির্ধারিত হয়। এই জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার ষষ্ঠ স্থানে উঠে এল বেঙ্গালুরু। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই দাঁড়িয়ে রইল মুম্বই সিটি। ফলে শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হল এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই দুর্দান্ত তালমিলে অসাধারণ গোল দিয়ে বেঙ্গালুরু এফসি-কে এগিয়ে দেন ক্লেইটন সিলভা। সেই ধাক্কা সামলে উঠে গোল শোধ দিতে মরিয়া হয়ে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় মুম্বই সিটি এফসি। বেঙ্গালুরু এফসি আক্রমণে পাল্টা গতি বাড়ালে দুই দলের মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই শুরু হয়। বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন অ্যাডাম লে ফনড্রেরা। অন্যদিকে ম্যাচের ২২ মিনিটে ঠিকানা লেখা ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে বেঙ্গালুরুর হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়ান ক্লেইটন সিলভা। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে সুনীল ছেত্রী শিবির।
দুই গোল হজম করে ছেড়ে কথা বলার আমেজে ছিল না মুম্বই সিটি এফসিও। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে আরও গতি বাড়ায় অভিনেতা রনবীর কাপুরের দল। চটজলদি সফলতাও ধরা দেয় তাদের বুটে। ম্যাচের ৫০ মিনিটে মুম্বইয়ের হয়ে এক গোল শোধ দেন অ্যাডাম লে ফনড্রে। সেই সফলতায় ভর করে মুম্বই যখন ম্যাচে ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখন খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে দলের হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়ান বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের একদম শেষ মুহুর্তে প্রতি আক্রমণে উঠে অসাধারণ গোল করে বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত করেন সেই ছেত্রী।
এরপর থেকেই দুই দলের মধ্যে লড়াই আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে কড়া ট্যাকেলও। একাধিকবার আক্রমণে উঠেও এক গোলের ব্যবধান ঘোচাতে পারেনি মুম্বই সিটি এফসি। বেশ কয়েকবার গোলের খুব কাছে পৌঁছেও ফিরে আসতে হয় ফনড্রে অ্যান্ড কোং-কে।