লন্ডন: দাদা হতে চলেছে আর্চি। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন মেগান মর্কেল। ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে এই কথা জানা গিয়েছে। একটি ছবি প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সেখানে মেগান ও প্রিন্স হ্যারিকে একটি গাছের নিচে হাসিমুখে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে। ছবিটি সাদা কালো। কিন্তু তাতে মেগানের শরীরে গর্ভবতী হওয়ার সমস্ত চিহ্ন বিদ্যমান।
ব্রিটেনের সংবাদপত্রে এই খবরটি যেদিন প্রকাশিত হল ঠিক তার থেকে ৩৭ বছর আগে এমনই একটি সুখবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেটি ছিল প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়না তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। তিনিই প্রিন্স হ্যারি। তবে মেগান ও হ্যারির কোলে দ্বিতীয় সন্তান আসার কথা ছিল আরও আগে। কিন্ত মার্কিন একটি সংবাদ মাধ্যম জানায় গত জুলাই মাসে গর্ভপাত হয় মেগানের। তারপর এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এল সুখবর। বাকিংহাম প্যালেসের তরফে জানানো হয়েছে, রানি, ডিউক অফ এডিনবার্গ, প্রিন্স অফ ওয়েলস সহ গোটা পরিবার মেগান ও হ্য়ারিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম পুত্র সন্তানে জন্ম দিয়েছিলেন মেগান মর্কেল৷ উইনসডোর ক্যাসেলের বাইরে সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসি মুখে ছবি তুলেছিলেন মেগান ও হ্যারি৷ শিশুপুত্রের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছিল সকলে৷ সাদা কম্বলে মোড়া সেই শিশুর ছবি মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়৷ ছবিতে দেখা যায় বাবা হ্যারির কোলে আরামে ঘুমোচ্ছে সে৷ শিশুর জন্মের খবর মিডিয়াকে দেন উচ্ছ্বসিত প্রিন্স হ্যারি৷ তিনি সেদিন বলেছিলেন আমাদের পুত্রসন্তান হয়েছে৷ এটা অন্যরকম একটা অনুভূতি৷ প্রিন্স ছাড়াও এই খবর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেন সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেস৷
এরপর গত বছর মার্চ মাসে হ্য়ারি ও মেগান রাজপরিবার থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। রাজপরিবারের বাঁধাধরা নিয়মে খাপ খাওয়াতে না পেরে সাধারণদের মতো স্বাধীন চলাফেরা করতেই এমন ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। তাঁরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে চাইছেন বলেও জানিয়েছিলেন। এরপর আমেরিকায় সংসার পাতেন হ্যারি ও মেগান। নেগান নতুন করে ফিল্ম দুনিয়ায় কাজও শুরু করেন। করোনা পরিস্থিতিতে আমেরিকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। এই ঘটনার পরই ‘মাদাম তুসো’তে থাকা ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সেট থেকে হ্যারি ও মেগানের মূর্তি সরিয়ে নেওয়া হয়।
মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক পোস্ট এই ঘটনাকে ‘মেক্সিট’ (মেগান+এক্সিট) অ্যাখ্যা দিয়েছে। ইতালির রিপাবলিকা বলছে, রাজপরিবার থেকে ডিভোর্স চাইছেন মেগান-হ্যারি। রাজপরিবার ছড়ার সিদ্ধান্তের পর একটি বিবৃতিতে হ্যারি ও মেগান বলেছেন, ‘রানী, কমনওয়েলথ ও অভিভাবকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে পূর্ণ সম্মান রেখেই তাঁরা ব্রিটেন ও উত্তর আমেরিকায় ভাগাভাগি করে থাকতে চান।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.