একুশে বিজেপির হিন্দু ভোটে থাবা কষাতে বাংলার লড়াইয়ে এক নতুন 'পার্টি'! সমীকরণ একনজরে

২০১৭ সালে বাংলার এক অপ্রীতিকর ঘটনার হাত ধরে তপন ঘোষ ও হিন্দু সংহতি মঞ্চ খবরে এসেছিল। কট্টর দক্ষিণপন্থী এই সংগঠন এককালে ছিল এনজিও। বর্তমানে একুশের ভোটে তারাই রাজনৈতিক দল হিসাবে ভোট যুদ্ধে নামছে। ফলে বাংলার ভোটে যেমন আরও একটি দল নাম লেখাল, তেমনই রাজনৈতিক সমীকরণের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু দিক আলোচনায় উঠে আসছে।

হিন্দু সংহতি মঞ্চ ও কিছু তথ্য

মূলত, হিন্দু সংহতি মঞ্চ প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৮ সালে। ধীরে ধীরে বাংলার বুকে এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন নিজের শাখা খোলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এই সংহতি শিবিরের মূল প্রতিষ্ঠাতা তপন ঘোষ আগে আরএসএস কর্মী ছিলেন। সেখান থেকে ২৯৪ আসনের বাংলা নির্বাচনে বহু সমীকরণ ঘিরে জল্পনা তৈরি করেছে।

কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল কেন বিজেপির উদ্বেগের কারণ হতে পারে?

হিন্দু সংহতি মঞ্চ থেকে সদ্য জন সংহতি নামের একটি পার্টি লঞ্চ হয়েছে বাংলার বুকে। এদিকে, এর আগে এই হিন্দু সংহতি মঞ্চ বহু ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধীতার জন্য খবরের শিরোনাম কাড়ে। সেই জায়গা থেকে একুশের ভোটে এই পার্টি বিজেপির হিন্দু ভোটে থাবা বসিয়ে দিতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। আর তা যদি সত্যি হয়, তাহলে বঙ্গবিজেপির পক্ষে তা উদ্বেগের কারণ হবে।

বাংলায় কয়টি আসন নজরে রয়েছে পার্টির?

মূলত বাংলায়, ২৯৪ আসনের লড়াইয়ে ১৭০ টি আসনে লড়তে চাইছে এই হিন্দু সংহতি মঞ্চ। উত্তরবঙ্গের ৪০ টি আসন ও দক্ষিমের ১৩০ টি আসনকে তাঁরা টার্গেট করে রেখেছে।

বাংলার বুকে নয়া সমীকরণ ও অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল কেন হতে পারে!

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গে থেকে লড়েছিল হিন্দু সংহতি মঞ্চ। তবে তারপর তাঁদের দাবি, হিন্দু সংহতি সংগঠনটি একটি নিরপেক্ষতাকে সঙ্গে নিয়ে চলবে। তারা জানিয়েছে লোকসভায় বঙ্গবিজেপি যা ছিল, তা বিধানসভার ভোটে নেই। জন সংহতি-র প্রেসিডেন্ট দেবতনু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ' সাধারণ মানুষকে দাম দিতে হবে বিজেপি ক্ষমতায় এলে। বিজেপির ওপর হিন্দুরা ভরসা রাখছে না।' আর ঠিক এই জায়গা থেকেই সম্ভবত হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক ঘিরে বিজেপি বিরোধী মমতা শিবিরকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পারে জন সংহতি। ফলে একাধিক সমীকরণের জল্পনা গড়ে দিচ্ছে বাংলার বুকে এই নবগঠিত দল।

More HINDU News