চেন্নাই: একই ভেন্যু, একই প্রতিপক্ষ৷ কিন্তু রেজাল্ট ভিন্ন হতে চলেছে চিপকে৷ প্রথম টেস্টে লজ্জাজনক হারের বদলা নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ভারতের সামনে৷ সিরিজে সমতা ফেরাতে ভারতের দরকার ইংল্যান্ডের শেষ সাতটি উইকেট৷ হাত রয়েছে পুরো দু’দিন৷ রেকর্ড ৪৮২ রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তুলেছে ইংল্যান্ড৷ ক্যাপ্টেন জো রুট ২ এবং ড্যানিয়েল লরেন্সে ১৯ রানে ক্রিজে রয়েছেন৷ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার এখনও ৪২৯ রান৷ ক্রিকেট অনিশ্চিয়তার খেলা হলেও যা এক প্রকার অসম্ভব৷
চিপকের ঘূর্ণি পিচে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও বিরাট কোহলির কঠিন লড়াইয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৬ রান তোলে ভারত৷ প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে ইংল্যান্ডের সামনে প্রাহাড় প্রামাণ রানের টার্গেট দেয় টিম কোহলি৷ দিনের শেষ ডম সিবলে (৩), ররি বার্নস (২৫) এবং নাইটওয়াচম্যান জ্যাক লিচের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড৷ ইনিংসের নবম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হন সিবলে৷ তারপর ড্যান লরেন্সকে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন বার্নস৷ ব্যক্তিগত ৭ রানে বার্নসের ক্যাচ ফেলেন ঋষভ পন্ত৷ তবে জীবন পেয়েও বড় রান করতে পারেননি ইংরেজ ওপেনার৷ অশ্বিনের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বার্নস৷ তারপর নাইটওয়াচম্যান লিচকে প্রথম বলেই ফেরান অক্ষর৷
দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা মন্দ না-হলেও ১০৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত৷ সেখান থেকে ভারতীয় ইনিংসকে টেনে তোলেন ক্যাপ্টেন কোহলি ও অশ্বিন৷ সপ্তম উইকেটে দু’জনে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন৷ টেস্ট কেরিয়ারে ২৫তম হাফ-সেঞ্চুরি করে মোয়েন আলির শিকার হন কোহলি৷ প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে দুরন্ত ৬২ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট৷
কোহলি প্যাভিলিয়নে ফিরলেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অশ্বিন৷ শেষ উইকেটে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে ৪৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে তিনশোর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন৷ দু’টি ছক্কা-সহ ১৬ রানের অপরাজিত থাকেন সিরাজ৷ ১০৬ রানের ইনিংসে ১৪টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মারেন অশ্বিন৷ একই ম্যাচে ইনিংসে ৫ উইকেট এবং সেঞ্চুরির নজির আগেও করেছেন অশ্বিন৷ এ নিয়ে তৃতীয়বার সেঞ্চুরি ও ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে কিংবদন্তি ইংরেজ অল-রাউন্ডার ইয়ান বোথামের পাশে জায়গা করে নিলেন ভারতীয় এই অফ-স্পিনার৷ বোথামের পর অশ্বিন হলেন দ্বিতীয় ক্রিকেটার, যিনি দু’বারের বেশি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.