কলকাতা: এবার অন্ডাল বিমানবন্দরের শেয়ার হাতে নেওয়া নিয়েও রাজ্যকে বিঁধে টুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। অন্ডাল বিমানবন্দরের অধিকাংশ শেয়ার নিচ্ছে রাজ্য সরকার। টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের প্রশ্ন, ‘‘অন্ডাল বিমানবন্দরের যে অতিরিক্ত শেয়ার রাজ্য হাতে নিচ্ছে, সেই সংক্রান্ত চুক্তির নথি কোথায়? এই সিদ্ধান্ত কাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে?’’
বাংলায় রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকে নানা ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কখনও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যপাল, কখনও আবার শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় চড়িয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যপালকে বিজেপির এজেন্ট বলে কটাক্ষ করেছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে প্রস্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতকিছুর পরেও রাজ্যপাল তাঁর পুরনো অবস্থানেই অনড় রয়েছেন। বিধানসভা ভোটের মুখে এবার অন্ডাল বিমানবন্দরের শেয়ার হাতে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের রাজ্য প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়ালেন ধনকড়৷
পিপিপি মডেলে তৈরি হয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর৷ তবে বিমানবন্দর তৈরির পর পর্যাপ্ত যাত্রী না হওয়ায় একটা সময় এখানে পরিষেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিমানবন্দরটিকে ফের চাঙ্গা করতে তৎপরতা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই বিমানবন্দরের বাড়তি শেয়ারও হাতে নিয়েছে রাজ্য়। আগে অন্ডাল বিমানবন্দরের ২৬ শতাংশ শেয়ার রাজ্যের হাতে ছিল। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৭ শতাংশ। বাড়তি শেয়ার হাতে নিয়ে অন্ডাল বিমানবন্দরের মাধ্যমে রাজ্যের ভাঁড়ারে আয় বাড়াতে সচেষ্ট সরকার।
তবে রাজ্যের এই উদ্যোগ ঘিরেও এবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর কথায়, ‘‘অন্ডাল বিমানবন্দরের যে অতিরিক্ত শেয়ার রাজ্য হাতে নিচ্ছে, সেই সংক্রান্ত চুক্তির নথি কোথায়? এই সিদ্ধান্ত কাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে?’’৷
রাজ্যপালের মতে রাজ্যের সাম্প্রতিক অবস্থা অনুযায়ী অন্ডাল বিমানবন্দরের বাড়তি শেয়ার কিনতে গিয়ে বহু অর্থ ব্যয় করেছে সরকার। বিমানবন্দরের বাড়তি শেয়ার হাতে নেওয়া সংক্রান্ত সব নথিপত্র দেখতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের মতামতও জানতে চেয়েছেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.