মালদহ : ভোটের আগে ফের অস্ত্র উদ্ধার মালদহে। মালদহের মানিকচক থানার শংকর টোলা ঘাট থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার হচ্ছে ৫ টি রিভলবার। ১০ টি ম্যাগাজিন। ও ৯০ রাউন্ড কার্তুজ।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকচকে অভিযান চালায় এসটিএফ। তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের ব্যাগে তল্লাশী করে উদ্ধার হয় এই আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি। ধৃতদের মধ্যে দুজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ও একজন মালদহের ভূতনি থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের আজ মালদহ জেলা আদালতে পেশ করবে পুলিশ।আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূল চাপানউতোর।

জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি ও অজয় গাঙ্গুলি বলেন, ” রাজ্যের শাসকদলের প্রত্যক্ষ মদদেই এই ধরনের কারবার চলছে জেলায়। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। রক্তক্ষয়ী ভোট চাই না। এখন নির্বাচন কমিশন আসছে তাই পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। আমরা সব সময় চাই পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করুক।”

অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের কো-অডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “মালদহ জেলার পাশেই রয়েছে বিহার ঝাড়খন্ড। সেখানে বিগত নির্বাচনে বিজেপি সন্ত্রাসকে জয়ী হয়েছে। একই রকম বাংলায় ভোট করতে চাইছে। সেই কারণে তারাই এই ধরনের দুষ্কৃতীদের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়ে আসছে। বাংলার মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। সুতরাং আমাদের পুলিশ সক্রিয় রয়েছে তাই তাদেরকে গ্রেফতার করেছে।”

এদিকে ভোটের মুখে (Assembly elections) ফের রাজনৈতিক হিংসা নতুন করে ছড়াচ্ছে রাজ্যে৷ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)কান্দিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূলকর্মী৷ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে৷ ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রাজনৈতিক শক্রতা৷ তদন্তে নেমেছে পুলিশ (police)৷

জানা গিয়েছে,গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মীর নাম বরুণ ঘোষ। বাড়ি, কান্দির আন্দুলিয়া অঞ্চলের সন্তোষপুর গ্রামে৷ গতকাল সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন আন্দুলিয়া পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ওই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা৷ গুলি লাগে বুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷

অন্যদিকে পুলিশের অনুমান ব্যক্তিগত কারণেই হামলা হয়েছে৷ কারা হামলা চালানো জানতে ইতিমধ্যে স্থানীয় লোকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।

দু’দিন আগে শনিবার মিনাখার লাউহাটিতে বিজেপি নেতা বাবু মাস্টারকে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। তাঁর গাড়ি ১০/১২ জন দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে ত গাড়িতে বোমা, গুলি চালানোর অভিযোগ। ওই ঘটনায় বাবু মাস্টার ও তাঁর গাড়ির চালক গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবু মাস্টারকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শরীর থেকে বেশ কিছু বোমার স্প্লিন্টার বার করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট এই বাবু মাস্টার ১৮ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।