ওরা ডেডবডি চাইছিল, অতি বিপ্লবী হওয়ার জেরেই মৃত্যু, নবান্ন অভিযানে বাম নেতার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া সুব্রতর

নবান্ন অভিযানে গুরুতর আহত ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর ঘটনায় বামেদের উদ্দেশ্য নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল (trinamool congress) নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় (subrata mukherjee)। এদিন তিনি বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। এই মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

নবান্ন অভিযানে বেধড়ক লাঠি

অনেকগুলির দাবির সঙ্গে চাকরির দাবিও ছিল নবান্ন অভিযানে। সেই অভিযানে সামিল হয়েছিল হাজার হাজার বাম-যুব ছাত্র যুবরা। কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয়েছে সেই মিছিল ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিং-এ পৌঁছতেই পুলিশ বাধা দেয়। সেই সময় ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ফেনসিং ভেঙে ফেলার উপক্রম হলে পুলিশ বেধড়ক লাঠি চার্জ শুরু করে। জলকামান ব্যবহার করা হয়, কাঁদানে গ্যাসেল সেলও ফাটানো হয়। লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের মইদুল ইসলাম মিদ্দা।

শুরু থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মইদুল

১১ ফেব্রুয়ারি থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মইদুল। বাম চিকিৎসক নেতা ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে জানা যায় তাঁর কিডনি ফেলিওর হয়েছে। পরে পরীক্ষায় জানা যায় শরীরে র‍্যাবডোমাইলোসিস তৈরি হয়েছে। শরীরে পুলিশের লাঠির ঘায়ে পেশি ফেটে গিয়ে সেখান থেকে প্রোটিন বের হওয়ার জেরেই এই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন তিনি। পরীক্ষায় জানা যায়, শরীরে সোডিয়াম বেড়ে গিয়ে পটাশিয়াম তৈরি হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরুর দিকে অবনতি হলেও, রাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ফুসফুসে জল জমায় পরিস্থিতি জটিল হয়। এদিন সকালে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মৃত্যুকালীন শেষ জবানবন্দিতে মইদুল পুলিশের লাঠির হামলাকে দায়ী করে গিয়েছেন। যেই কারণে দেহে ময়নাতদন্ত হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে।

ওরা ডেডবডি চাইছিল, বললেন সুব্রত

এই মৃত্যুর ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, এই মৃত্যু দুঃখজনক। তবে ওরা (বামেরা)ল ডেডবডি চাইছিল। তিনি বলেন, গত ৫০ বছর ধরে তিনি বামেদের হারে বারে চেনেন। ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কিছুই করেনি বলে দাবি করেছেন সুব্রত। তিনি এই ঘটনাকে আত্মহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলেছেন, কেউ আত্মহত্যা করলে কিছু করার নেই। অতিবিপ্লবী হওয়ার জেরেই এই মৃত্যু বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন দুর্ঘটনা

তৃণমূলের শাসনে গণআন্দোলনে মৃত্যু এই প্রথম নয়। ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল টালিগঞ্জের ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যু হয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠনের ডাকা আইন অমান্য আন্দোলনে গিয়ে। পুলিশ তাঁকে গাড়িতে তোলে। কিন্তু পুলিশের গাড়ি থেকে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মন্তব্য করেছিলেন।

তৃণমূল বিধায়ককে 'গ্যাঁড়া বামুন' বলে তীব্র আক্রমণ! পালটা দুর্নীতি ফাঁস করার হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে

More CPIM News