বাঁকুড়া ও কলকাতা : ‘যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক’। এটা হওয়া কখনোই বাঞ্ছনীয় নয়। তবে যে কোনও আন্দোলন সীমারেখা মেনে করা উচিৎ’। বাম ছাত্র যুব সংগঠনের ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচীতে গিয়ে মৃত কোতুলপুরের মইদুল আলি মিদ্যার মৃত্যু প্রসঙ্গে এমন জানালেন চন্দননগরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবির।

সোমবার বাঁকুড়ার সোনামুখীতে দলীয় এক কর্মসূচী শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। হুমায়ূন কবির বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিগত দশ বছর রাজ্যে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এমন কোনও পরিবার নেই যে কোন না কোন প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের লাঠি চার্জে মইদুল মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় কমিশনারের জেল হওয়া উচিৎ বলে দাবি করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশ জানেই না কিভাবে লাঠিচার্জ করতে হয়।

মইদুল ইসলাম মিদ্যা বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে রাজনৈতিক মহল গরম। সোমবার তাঁর বাড়িতে যান সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র এবং বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি। সঙ্গে ছিলেন বাম নেতারা।

গত বৃহস্পতিবার নবান্ন চলো’র ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র যুব সংগঠনগুলি। তাদের সমর্থন করে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। পুলিশের তরফে ব্যারিকেড তৈরি করে। ব্যাকিকেড ভাঙার সময় এমনকি যথেচ্ছ লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে সেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আরও অনেকের সঙ্গে গুরুতর আহত হয়েছিলেন কোতুলপুরের মইদুল ইসলাম মিদ্যা।

গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে সিপিআইএম নেতা ফুয়াদ হালিমের নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বাম যুব সমর্থকের। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।

এদিকে শোকস্তব্ধ কোতুলপুর। সোমবার গ্রামে গিয়ে দেখা গেল ঘনঘন মূর্ছা যাচ্ছেন মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্ত্রী। পৌছে গেছেন আত্মীয়স্বজনরা। বাড়িতে পাড়া প্রতিবেশীদের ভিড়। এসেছেন স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বও। সকলেই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।

জানা গিয়েছে,পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে দিশেহারা মইদুল ইসলাম মিদ্যার পরিবার। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন ছেলে মেয়ে। এই অবস্থায় কী ভাবে সংসার চলবে ভেবে পাচ্ছেন না কেউই।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।