বর্ধমান : পুরোনো বিবাদের জেরে ক্লাব দখল এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে রবিবার রাতে খোদ বর্ধমান শহরে নৃশংস্যভাবে খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। নিহতের নাম মহম্মদ আকবর ওরফে কালো (৪৬)। তিনি এলাকার তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার সাহাবুদ্দিন খানের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত।

মৃতের বাড়ি পীরবাহারাম ডাঙ্গাপাড়া এলাকাতেই। ক্লাবের নাম পীরবাহারাম ডাঙাপাড়া জোনাকি সংঘ। এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, এদিন ক্লাব দখলকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজিও করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জোনাকি সংঘের সম্পাদক ছিলেন মহম্মদ আকবর ওরফে কালো। প্রায় একবছর আগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন সম্পাদক করা হয় সেখ মুন্নাকে। আরও জানা গিয়েছে, কালোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর গত কয়েকমাস ধরে ক্লাবের কোনো উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগে ফের কালোকেই সম্পাদক পদে ফিরিয়ে আনার দাবীতে সোচ্চার হন একটি গোষ্ঠী। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।

এদিকে, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কালোকেই সম্পাদক পদে বসানো হয়। এমনকি রীতিমত হাজার খানেক টাকার বাজি ফাটিয়ে তাঁকে ক্লাবে ঢোকানো হয়। এরপরই ক্লাবের সদস্যদের একাংশ এই উপলক্ষে রাতে একটি পিকনিকের আয়োজন করেন। জানা গেছে, সন্ধ্যে থেকেই রীতিমত নাচগান করার পর প্রায় সিংহভাগ সদস্যই বাড়ি চলে যান। যথারীতি রাতের পিকনিকের খাবারের আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন কালো। এই সময় সেখানে সেখ মুন্নার দলবল সশস্ত্র অবস্থায় হাজির হন। কালোকে এলোপাথাড়ি মারধর করার পর চপার জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ঘাড়ে কোপানো হয়।

সেই সময় তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন জসিমউদ্দিন নামে এক যুবক। তাঁকেও মারধর করা হয়। এদিকে, আচমকা এই হামলার খবর পেয়েই এলাকার মানুষ ছুটে আসলে মুন্নার দলবল ব্যাপকহারে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ।

সেই সময় উত্তেজিত জনতা একজনকে ধরে ফেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালো এবং জসিমউদ্দিনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই রাতে মৃত্যু হয় কালোর।

এদিকে, এই ঘটনার পরই গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। ধৃত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, গোটা এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসানো হয় পুলিশী পিকেট। সোমবার সকালে এলাকায় গিয়ে পরিবেশ শান্ত রাখার আবেদন জানান বর্ধমান থানার আইসি পিণ্টু সাহা। এরই পাশাপাশি গোটা এলাকায় লাগাতার পুলিশী টহলদারী শুরু হয়েছে।

সামনেই বিধানসভার নির্বাচন। তার আগেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এবং ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনায় গোটা শহর জুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, এর আগেও কালোর সঙ্গে মুন্নার গোষ্ঠীর লোকেদের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটেছে দফায় দফায়। গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি এই মুন্না বিজেপির হয়ে কাজ করছিল। ক্লাবের সদস্যরা আগামী ২২ফ্রেব্রুয়ারী দিঘা যাওয়ার জন্য ক্লাবে ফ্লেক্স টাঙিয়ে ছিল, মুন্নার ছেলেরা সেই ফ্লেক্স ছিঁড়ে, পুড়িয়ে দেয়। স্থানীয় মানুষ ও ক্লাবের সদস্যরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সেখ মুন্নার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।