পানাজি: ক্রমেই যেন এআইএফএফ শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়াচ্ছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ রবি ফাওলার এবং তাঁর সহকারী টনি গ্রান্ট। এমনিতেই বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্যের কারণে দলের হেড কোচ তথা লিভারপুল লেজেন্ড রবি ফাওলারের চার ম্যাচ সাসপেনশনের মেয়াদ চলছে। আরও দু’ম্যাচ ডাগ-আউটে তাঁকে ছাড়াই খেলতে হবে তাঁর দলকে। এরইমধ্যে ফের ফাওলারকে শো-কজের নোটিশ ধরাল এআইএফএফ’র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। বাদ গেলেন না সহকারী টনি গ্রান্ট।
রবি ফাওলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি গত হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচ চলাকালীন স্ট্যান্ড থেকেই বিপক্ষ দলের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করেছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যে তাঁকে সেই শো-কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই একই ম্যাচের শেষে রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের চোখে ‘দুষ্ট’ হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছেন সহকারী কোচ টনি গ্রান্টও। হায়দরাবাদ ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাইটকে ফাউল না দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির শো-কজের ডাক পেয়েছেন গ্রান্টও।
খারাপ রেফারিং নিয়ে বলতে গিয়ে হায়দরাবাদ ম্যাচ শেষে গ্রান্ট এমন কিছু বলেন যা সত্যি হলে তা ভারতীয় ফুটবলের জন্য লজ্জার। সাইডলাইন থেকে হায়দরাবাদ কোচের প্ররোচনাতেই নাকি ওই ম্যাচে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে গিয়েছিল। এমনই অভিযোগ জানিয়েছিলেন ফাওলারের সহকারী। গ্রান্ট ওইদিন বলেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচেই এটা হচ্ছে। এটা ভীষণ লজ্জার যে প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য বলতেও রাজি নই আমরা। বিপক্ষ কোচ লাইন্সম্যানকে বলে দিচ্ছে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আর লাইন্সম্যানও সেই অনুযায়ী রেফারিকে নির্দেশ দিচ্ছে। যা পুরোপুরি বেআইনি।’
ঘটনায় ম্যাচ কমিশনার এবং রেফারিদের তরফ থেকেও ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। গ্রান্টকে আবার তাঁর শো-কজের জবাব দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোর মধ্যে। আত্মপক্ষ সমর্থনে ইস্টবেঙ্গল কোচ এবং সহকারী কোচের জবাব কতটা গ্রহণযোগ্য হয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে। এখন সেটাই দেখার। একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভাপতি ঊষানাথ বন্দোপাধ্যায়ের কাছে জবাব পেশ করবেন দু’জনে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিরতি লেগের কলকাতা ডার্বিতে এটিকে-মোহনবাগানের মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল। তার ঠিক আগে এই শো-কজের বিষয়টি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ লাল-হলুদের কাছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.