চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনেও স্পিনারদের দাপট, অশ্বিনের প্রশংসায় ভাজ্জি

চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনেও দাপট দেখাচ্ছেন স্পিনাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে আজ শুরু করেন রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা। দলের ৫৫ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফিরে যান পূজারা, করেন ৭। স্কোরবোর্ডে দলের রান যোগ হওয়ার আগে জ্যাক লিচের বলে স্টাম্প আউট হন রোহিত শর্মা। তিনি ফেরেন ২৬ রান করে। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর রান তোলার গতি বাড়াতে অজিঙ্ক রাহানের আগে ঋষভ পন্থকে পাঠানো হয়। কিন্তু ৮ রান করে তিনিও লিচের বলে স্টাম্প আউট হয়ে ফেরেন। শুরুটা খারাপ না করলেও বড় রান পেতে ব্যর্থ রাহানেও। ১৪ বলে ১০ রান করে মঈন আলির শিকার হন তিনি। ৮৬ রানের মাথায় ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়ে। ভারতের লিড ইতিমধ্যেই ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ৭ রান করে মঈন আলির শিকার অক্ষর প্যাটেল।

চিপকে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ওভার থেকেই বল ঘুরছে। ভারতের সিরিজে সমতা ফেরানোর সম্ভাবনাও প্রবল। সমতা ফেরানোর লড়াইয়ে ঘূর্ণি পিচ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ড বিপাকে পড়তেই মাইকেল ভনের মতো প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, এটা টেস্ট খেলার সম্পূর্ণ অযোগ্য পিচ। যদিও তাঁর দেশেরই প্রাক্তন স্পিনার গ্রেম সোয়ান এতে দোষের কিছু দেখছেন না। তাঁর কথায়, ঘরের মাঠে সবুজ উইকেট ইংল্যান্ডও বানায়। ফলে ভারত নিজেদের শক্তি অনুযায়ী স্পিন পিচ বানালে সমস্যা কিছু নেই। বরং রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের খেলা থেকে শিক্ষা নিয়ে মাঠে তার প্রয়োগ হলে ইংল্যান্ডকে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। যত দ্রুত স্পিন পিচে খেলতে দক্ষতা দেখাবে ইংল্যান্ড, তত দ্রুত সাফল্যও আসবে। স্পিন পিচ নিয়ে ইংল্যান্ডের মানসিকতাতে বদলের দাবিও উঠতে শুরু করেছে ব্রিটিশ ক্রিকেট মহলে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিজেও বলেছেন, সবুজ পিচে গতিসম্পন্ন বোলারদের সামলানোর তুলনায় ব্যাটসম্যানদের পক্ষে অনেক সুবিধাজনক স্পিন পিচে স্পিনারদের খেলা। কারণ, স্পিনারদের বলের গতি পেসারদের থেকে তো অনেকটাই কম।

গ্রেম সোয়ান যেমন অশ্বিনের বোলিং থেকে শিক্ষা নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন ইংরেজ বোলারদের, তেমনই অশ্বিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হরভজন সিং। অশ্বিন গতকাল দেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারীদের তালিকায় হরভজনকে টপকে ২৬৮ উইকেট নিয়ে রয়েছেন শীর্ষে থাকা অনিল কুম্বলের পরেই। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের তিনি ২০০ বার আউট করার কৃতিত্বও অর্জন করেছেন। খেলার শেষে বলেন, আমি কোনওদিন ভাবিনি দেশের হয়ে খেলে এই জায়গায় আসব। ২০০১ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হরভজন সিংয়ের বোলিং মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। তখন আমি রাজ্য দলের ব্যাটসম্যান ছিলাম। সতীর্থরা বলত আমার বোলিং নাকি ভাজ্জু পা (হরভজন)-এর মতো। ফলে এই জায়গায় আসতে পেরে ভালোই লাগছে। অর্থাৎ ভাজ্জিকে দেখেই যে তিনি স্পিন বোলিংয়ে বেশি জোর দেন তা স্পষ্ট করে দেন অশ্বিন। তাঁর বক্তব্য বিসিসিআই টুইট করতেই হরভজন তার প্রেক্ষিতে টুইট করেছেন। হরভজন লিখেছেন, তুমি একজন চ্যাম্পিয়ন। আরও অনেক রেকর্ড ভাঙবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই ছন্দ ধরে রাখার জন্য অশ্বিনকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ভাজ্জি। টেস্টে ৪০০ উইকেট পেতে অশ্বিনের দরকার ৯ উইকেট। তবে কাজটা কঠিন হলেও ভাজ্জি মনেপ্রাণে চাইছেন নিজের মাঠে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ঘরের ছেলে অশ্বিন এই মাইলস্টোনে পৌঁছান।

More INDIA VS ENGLAND 2021 News