কলকাতা: বৈচিত্রে ভরা এই পৃথিবী। পৃথিবীর এই অপার লীলা দেখলে সত্যি অবাক হতেই হয়। তবে যাই সুন্দর তাই কষ্টসাধ্য এটাও মনে রাখতে হবে আমাদের। সহজে সেখানে যাওয়া যায় না বা তা সেই জিনিসটি হাতের কাছে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই লীলার অর্ধেকই আমাদের জানা নেই। এমন অনেক জায়গা আছে যা রহস্যময়। এমন এক জলপ্রপাত আছে যেখানে সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হলে সাতটি রঙের ছটা বের হয় যা দৃশ্যত শোভনীয়। তবে এটি খুবই সাধারণ এক ঘটনা। কিন্তু এমন কি শুনেছেন যে কোনো একটি শান্ত নদী বা জলপ্রপাত বয়ে যাওয়ার সময়ে সেই ৭ টি রঙকে সঙ্গে করে নিয়ে বয়ে চলে সেই জলপ্রপাত বা নদীটি? এই জলপ্রপাতের এটাই বিশেষত্ব। এই কারণেই তা দেখতে মানুষের ভিড় জমে সেখানে। নদীটির এই বৈশিষ্টের জন্যেই এটিকে “রিভার অফ কালার” বা “লিকুইড রেইনবো” বলা হয়। এই জলপ্রপাতটি অবস্থিত কলম্বিয়ার ক্যানো ক্রিস্টালস-এ। জলপ্রপাতটি দেখলে মনে হবে যেন স্বর্গ নেমেছে পৃথিবীতে। নদীর চারপাশে পাখির কুজন আর প্রানীদের চলাচল এটিকে আরো জীবন্ত ও প্রাণবন্ত রেখেছে। পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে নদীটি বয়ে গেছে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। বছরের অন্যান্য সময়ে নদীটি স্বাভাবিক থাকলেও বর্ষাকালে এর রূপ পাল্টায় যা কার্যত অবাক করে পর্যটকদের এবং এর প্রতি আকর্ষণ জন্মায় সকলের। নদীর তলদেশে লাল লতা-গুল্ম ও অন্যান্য তরল পদার্থ স্রোতে দুলতে থাকে। আবার পাথরের গায়ে শ্যাওলা, হলুদ বালি, কালো পাথর সব মিলেমিশে জলের সঙ্গে বইতে থাকে। ১২০০ মিলিয়ন বছরের পুরোনো পাথর ধূসর থেকে আস্তে আস্তে কালো রঙ ধারণ করেছে যা নদীর নীচ থেকে উঁকিঝুঁকি মারছে। তবে নদীর এই রঙ প্রাকৃতিক নিয়মেই তৈরি হয়েছে। তবে একা একা এখানে পৌঁছাতে পারবেন না। গাইড নিয়ে পাহাড়, টিলা পেরিয়ে সেখানে যেতে হয় এই অপূর্ব দৃশ্য দেখতে। এলাকাটির এমন উদ্দ্ভুত আকর্ষণের জন্যে কলম্বিয়া সরকার এর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে একে এখন একটি পর্যটন স্থান হিসেবে ঘোষণা করে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.