মেলবোর্ন: বিশ্বের পাঁচ নম্বর এলিনা সিতোলিনাকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শেষ ষোলোয় চমক দিলেন অবাছাই জেসিকা পেগুলা। কেরিয়ারে প্রথমবার র্যাংকিং’য়ে প্রথম দশে থাকা কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারালেন যুক্তরাষ্ট্রের পেগুলা। একইসঙ্গে সিতোলিনাকে ৬-৪, ৩-৬, ৬-৩ সেটে হারিয়ে কেরিয়ারে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেললেন পেগুলা।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বীকে কোনওরকম সুযোগ না দিয়ে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলেন অ্যাশলে বার্টি। খুব সহজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেলবি রজার্সকে এদিন স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিলেন ২০১৯ ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন। বার্টির পক্ষে সোমবার ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-৪। শেষ আটে টুর্নামেন্টের ২৫তম বাছাই চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা মুচোভার মুখোমুখি হবেন বার্টি। উল্লেখ্য, বার্টির হাত ধরে ঘরের মাঠে ৪৩ বছরের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের খরা কাটাতে বদ্ধপরিকর অস্ট্রেলিয়া।
উল্লেখযোগ্যভাবে কোয়ার্টারে ওঠার পথে এখনও অবধি চলতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কোনও সেট খোয়াননি বার্টি। আগামী বুধবার মুচোভার বিরুদ্ধে শেষ আটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অন্যতম দাবিদার। এর আগে কেরিয়ারে একবারই মুচোভার মুখোমুখি হয়েছিলেন বার্টি। ২০১৮ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে স্ট্রেট সেটে রাশিয়ান মুচোভাকে হারিয়েছিলেন বার্টি। উল্লেখ্য, গতবছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া কেনিনের বিরুদ্ধে হারের পর এখনও অবধি ঘরের মাঠে কোনও ম্যাচ হারেননি বার্টি।
কোয়ার্টারে বার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী মুচোভা এদিন বেলজিয়ামের এলিস মার্টেন্সের বিরুদ্ধে স্ট্রেট সেটে জয় তুলে নিলেন। তবে দু’টি সেটেই এদিন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় মুচোভা-মার্টেন্সের। ৭-৬(৫), ৭-৫ সেটে জিতে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেন মুচোভা। খেলার ফল দেখেই পরিষ্কার মুচোভাকে কী পরিমাণ লড়াই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন মার্টেন্স।
এছাড়া মহিলা সিঙ্গলসের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ব্র্যাডি। শেষ ষোলোর অন্য আরেকটি ম্যাচে সোমবার ক্রোয়েশিয়ার ডোনা ভেকিচকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিলেন ব্র্যাডি। মার্কিনি টেনিস প্লেয়ারটির পক্ষে এদিন ম্যাচের ফল ৬-১, ৭-৫। আগামী বুধবার শেষ আটের ম্যাচে স্বদেশী পেগুলার মুখোমুখি হবেন ব্র্যাডি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.