প্রশান্ত কিশোরের লড়াই মুকুলের বিরুদ্ধে, মোদী বনাম মমতার লড়াইয়ে চ্যালেঞ্জ শাহকেও

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে জয়ের দিশা দেখানোই তাঁর কাজ। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর তাই একুশের নির্বাচনে তাঁর এজেন্সিকে নিয়ে নেমে পড়েছেন ময়দানে। এবং শত বিরোধিতা সত্ত্বেও তিনি বিশ্বাস দিতে পেরেছেন তিনিই হবেন এক্স-ফ্যাক্টর। এইবার বাংলায় মোদী বনাম মমতার লড়াইয়ে পিকের চ্যালেঞ্জার মুকুলের পাশাপাশি অমিত শাহও।

পিকে নেমেছেন অমিত শাহকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে

বঙ্গভূমে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ব্যাট ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের হয়ে। বাংলায় এবার লড়াই মোদী বনাম মমতার। সেই লড়াইয়ে প্রশান্ত কিশোর নেমেছেন অমিত শাহকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে। সেইসঙ্গে এবার তৃণমূলের প্রাক্তন চাণক্য মুকুল রায়ের সঙ্গেও এবার তাঁর লড়াই গুরুত্ব পাচ্ছে একুশের কুরুক্ষেত্রে।

মুকুলের বিরুদ্ধেও জয় হাসিল করার বাড়তি তাগিদ

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বেঙ্গল ইউনিটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ অমিত শাহ। তাই তাঁকে হারানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের। সেইসঙ্গে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও জয় হাসিল করার বাড়তি তাগিদ অনুভব করছেন তিনি। শুধু মমতার কাছেই এবার প্রেস্টিজ ফাইট নয়, প্রেস্টিজ ফাইট প্রশান্ত কিশোরের কাছেও।

বাংলার ভোট ময়দানে কার গ্রহণযোগ্যতা, মূল্যায়নে পিকে

প্রশান্ত কিশোর ২০১৯-এর জুন মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলীর দায়িত্ব নেন। তিনি আসার পর নীতি, কৌশল ও সাংগঠনিক বিষয়ে গাইড করতে শুরু করেন তৃণমূলকে। বেশ কিছু চমকপ্রদ কর্মসূচি নিয়ে তিনি বাংলার ভোট ময়দানে কার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা প্রমাণে নামেন। তা করতে গিয়ে কিন্তু তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সৈনিককে হাতছাড়া হয়েছেন।

২০১৯ থেকে ২০২১ বাংলায় পিকে বনাম মুকুল

২০১৯-এ তৃণমূলের দায়িত্বে আসার পর তিনি মুকুল রায়ের ভাঙন লীলা থামিয়ে দিয়েছিলেন। তার ফলে তাঁকে নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল। এবার একুশের ভোটের আগে মুকুল রায় ফের তৃণমূলের কোমর ভেঙে দেন। অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু-রাজীবদের মতো স্বনামধন্য তারকারা।

তৃণমূলের দিকে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা পিকের

প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলে ভাঙন রুখতে খানিক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশিরভাগটাই নির্বিকার থেকেছেন। তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলায় তৃণমূলের হারিয়ে যাওয়া জায়গা পুনরুদ্ধারে। নেতা হারানো তাঁর কাছে গুরুত্ব পায়নি। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে তিনি তৃণমূলের দিকে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মোদীও জয় পেয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের ভরসাতেই

মোদীকে বিশাল মাইলেজ দিয়ে প্রশান্ত কিশোর যাত্রা শুরু করেছিলেন ভারতীয় রাজনীতিতে। তাঁর পরিচয় দেশের মানুষ পায় ২০১৪-য়। সেবার তিনি মোদীকে দিল্লির কুর্সিতে বসানোর মূল কারিগর হয়ে উঠেছিলেন। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে এবং ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী জয় পেয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের ভরসাতেই।

বাংলায় মমতার হয়ে তিনি লক্ষ্যভেদে প্রশান্ত কিশোর

প্রশান্ত কিশোর ভারতের বুকে প্রায় এক দশকেরও বেশি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে চলেছেন। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর তিনি কংগ্রেস, নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড, অন্ধ্রের জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং ২০২০ সালে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি সাফল্য পেয়েছেন। ব্যর্থতা শুধু ২০১৭ সালে কংগ্রেসের হয়ে উত্তরপ্রদেশে। এবার বাংলায় মমতার হয়ে তিনি লক্ষ্যভেদ করতে বদ্ধপরিকর।

প্রশান্ত কিশোর এক্স ফ্যাক্টর বাংলার নির্বাচনে, তৃণমূলে অস্বস্তি উড়িয়ে বাড়তি তাগিদ

More PRASHANT KISHOR News