কলকাতা: শহরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব -র( Mother and Child Hub)উদ্বোধন করলেন মমতা৷ চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালে (Chittaranjan Seva Sadan Hospital)তৈরি হয়েছে এই হাব৷

বর্তমানে প্রসূতি মা ও সদ্যোজাত শিশুদের জন্য উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই মাতৃ মা-র উদ্বোধন করলেন মমতা৷ এছাড়া সোমবার নবান্ন সভাঘর থেকে বিকেলে হাসপাতাল ভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি অ্যাপ্লিকেশন এবং ডি এন দে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সংস্কার ও নবনির্মাণেরও উদ্বোধন করলেন৷

মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, ‘এই নিয়ে সারা বাংলায় ১৭টা এই হাব তৈরি হল। ৩০৩টি বাচ্চাদের Sick New Born Care Unit তৈরি হয়েছে। যেখানে বাচ্চাদের ২৮ দিন বয়স পর্যন্ত চিকিৎসা করা হয়। বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য অসুস্থ নবজাতক পরিষেবা ইউনিট (এসএনসিইউ) আগে ৭টি ছিল। আমাদের সরকার ৭৫টি করে দিয়েছে। ৪৩ টি মাল্টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের মান উন্নত হয়েছে। যে কোনও হাসপাতাল গেলে মনে হবে বিশ্বের কোনও সেরা হাসপাতালে আছি’।

এর আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে মমতা সরকার৷ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিলে কলকাতা পুরো এলাকার হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলোকে হাসপাতাল সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে পুরসভা। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং আইন সংশোধন করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধাভোগীদের জন্য বাড়তি ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করার এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।

মূলত এর ফলে কলকাতা পুরো এলাকায় অবস্থিত হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলো তাদের ভবনের আয়তন বাড়াতে পারবে। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এই কথা জানিয়েছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কলকাতার সব বেসরকারি হাসপাতালে বেড বাড়াতে চায়। এদিকে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে রোগী এলবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মাঝে মাঝেই শোনা যাচ্ছে। এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে বহু হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেডের অভাবের কথা উঠেছিল।

পুরসভার বক্তব্য, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিষেবা প্রদানে সাহায্য করতে নতুন ওয়ার্ড নির্মাণে সাহায্য করবে কলকাতা পুরসভা । বাণিজ্যিক এলাকায় যেমন বাংলায় কর্মসংস্থানের স্বার্থে বিল্ডিং আইন সংশোধন করে অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়া দেওয়া হয়েছে ঠিক একইভাবে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য অতিরিক্ত ওয়ার্ড তৈরিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির পাশে দাঁড়াতেই কলকাতা পুরসভা এই আইন কার্যকর করছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।