কলকাতা: অঙ্গ দানের মতো ঘটনা পৃথিবীতে নতুন নয়। ভারতেও বহু জায়গায় ইতিমধ্যেই অঙ্গ দানের ঘটনা ঘটেছে। ব্যতিক্রম নয় কলকাতাও। হৃদযন্ত্র, চোখ সহ একাধিক অঙ্গ দানের সাক্ষী থেকেছে বাংলার মানুষ। এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসনও। এবার কলকাতার এক অঙ্গ দাতাকে এই নিয়ে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ওই মহিলার নাম মানসী হালদার। ২০১৪ সালে তিনি তাঁর কিডনি দিয়েছিলেন এক অনাথকে। প্রধানমন্ত্রী সেই সময় একটি বক্তৃতায় অঙ্গ দান নিয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন। তখন তিনি অঙ্গ দানকে “মহান দান” বলে উল্লেখ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ভাষণে উদ্দীপিত হয়েই তিনি কিডনি দানের সিদ্ধান্ত নেন। আর তা করেনও। এক অনাথকে নিজের কিডনি দেন তিনি। কয়েক মাস আগে এই ঘটনাটি জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথা ভাবেন। আর তা লেখেনও তিনি। সম্প্রতি তিনি সেই চিঠির উত্তর পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মানসীকে চিঠিতে লিখেছেন, “একটি মূল্যবান জীবন বাঁচাতে তুমি নিজের কিডনি দান করেছো। আমি তোমার এই মহান কাজের কথা শুনে অভিভূত। তোমার স্বার্থহীনতার জন্য কোনও প্রশংসাই যথষ্ট নয়। তোমার ত্যাগের পুণ্য ও করুণা সর্বদা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে থাকবে। তোমার এই মহৎ কাজ অনুপ্রেরণা দেয়। এটি অনেককে এগিয়ে আসার জন্য অনু্প্রেরণা দেবে। যারা মানবিকতার খাতিরে অঙ্গ দান করতে চায় তাদের শক্তি যোগাবে তোমার এই কাজ।”
প্রধানমন্ত্রী এও জানান, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অঙ্গ দানের মতো কাজকে আগামী দিনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মানুষকে অঙ্গদানের বিষয়ে সতর্ক করবে। যাদের অঙ্গ প্রয়োজন তাদের এর ফলে সাহায্য হবে। মানুষ যদি অঙ্গ দান নিয়ে সতর্ক ও সচেতন হয় তবে যাদের অঙ্গ প্রয়োজন তারাও ভবিষ্যতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। মানসী জানিয়েছেন, প্রাধানমন্ত্রীর থেকে চিঠি পেয়ে তিনি অভিভূত। তিনি নিজে এবং যাঁকে তিনি কিডনি দান করেছিলেন, দুজনেই এখন সুস্থ রয়েছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.