'গ্যাঁড়া বামুন' বলে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংদের
রবিবার কাটোয়ায় বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা' কর্মসূচির রথযাত্রায় সামিল হন সুনীল মন্ডল। প্রথম থেকে আক্রমণাত্বক ছিলেন সাংসদ। রথযাত্রা থেকে তৃণমূল বিধায়ককে গ্যাঁড়া বামুন বলে তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি বলেন,"এই রথযাত্রার মধ্য দিয়ে তৃণমূলের যে দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং গ্যাঁড়া বামুন রবি চ্যাটার্জির (কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়) যে কুকীর্তি, সেটা আমরা প্রচার করতে চাই। পাশাপাশি সুনীল মণ্ডলের হুঙ্কার, "তৃণমূলের নেতারা যে তোলাবাজি করেছে, তাঁদের থেকে সমস্ত টাকা আদায় করে এলাকার উন্নয়নের কাজে লাগাব।" তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্কের তৈরি হয়েছে। যদিও সুনীল মন্ডলের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও।
সুনীল মন্ডলের বিরুদ্ধে পালটা দুর্নীতি ফাঁস করার হুমকি
সুনীল মন্ডলকে কড়া ভাষায় পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, সুনীল মন্ডলের একজন দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষ। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি রয়েছে বলে দাবি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। আমাদের দলে থাকার সময় ওর দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের শীর্ষনেতৃত্বকে জানানো হয়েছিল। দল থেকে তদন্ত শুরু হয়। যখন সুনীল মণ্ডল বুঝতে পারল, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে হাতে হাতকড়া পড়ে যাবে। তখন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বাঁচার জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিধায়ক। আগামিদিনে সাংসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ফাঁস করার হুমকি বিধায়কের। অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আমি গরিব ব্রাহ্মণ। আমাদের বিরুদ্ধে বিজেপি কুকথা বলবে।কারণ, এটাই ওদের সংস্কৃতি।"
জানোয়ার বলে দিলীপকে আক্রমণ
ভোট আসছে কু-কথা বাড়ছে! গত কয়েকদিন আগেই দিলীপ ঘোষকে জানোয়ার বলে আক্রমণ করেছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদসা অনুব্রত মন্ডল। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও তাঁর এই মন্তব্যের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অনুব্রত মন্ডলকে আইনি নোটিশ পাঠান দিলীপ ঘোষ। তাতে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু তাতে কর্নপাত করেননি অনুব্রত। তাঁর পাল্টড়া দাবি ছিল, যা হবে আদালতে হবে।
বাপ বলে আক্রমণ শানান অভিষেক
গত কয়েকদিন আগেই মেদিনীপুরে রাজনৈতিক সভা করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে সরাসরি শিশির বাবুকে আক্রমণ করেন অভিষেক। কার্যত তুই তুইকারি এবং শালা বলে আক্রমণ শানান তিনি। যা নিয়ে চরম বিতর্কের তৈরি হয়। এমনকি, সংস্ক্রতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার কু-কথা নিয়ে বিতর্ক।