২০১৯ সালে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকেই জননিরাপত্তা আইন বলে পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লার মতো শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের এক বছরেরও বেশি সময় গৃহবন্দী রাখে সরকার। যা নিয়ে টানা একবছর রাজনৈতিক মহলে চলতে থাকে বিস্তর চাপানৌতর। অবশেষে গত বছরের শেষার্ধেই সুপ্রিম তোপের মুখে পড়ে তাদের ছাড়তে বাধ্য হয় কেন্দ্র। কিন্ত মুক্তির পরেও ফের 'গৃহবন্দি’ করা হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি বিরোধীদের, শোনা যাচ্ছে এমনই অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ফের সপরিবারে গৃহবন্দি করা হয়েছে। গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁর বাবা তথা বর্তমান সাংসদ ফারুক আবদুল্লাহকেও। একই অভিযোগ করেছেন মেহবুবা মুফতিও। অন্যদিকে গৃহবন্দি হওয়ার কথা জানিয়ে এদিন টুইটারে কেন্দ্রকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন ওর আবদুল্লাহ। এমনকী গণতন্ত্রের নামে দমন পীড়নেরও তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি।
এদিন টুইটারে তাঁকে লিখতে দেখা যায়, “ ২০১৯ সালের আগস্টের পর থেকে এটাই এখন নতুন জম্মু-কাশ্মীর। কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েই আমাদের বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমার বোন এবং তার সন্তানদেরও তাদের বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’ আমার বাবা ফারুক আবদুল্লাহরও একই অবস্থা।” এদিকে এর আগে শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন মু্খ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি অভিযোগ করেন, তাঁকেও গৃহবন্দি করেছে সরকার।