সম্বলপুর: দরিদ্র ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষদের জন্য ‘এক টাকার ডাক্তারখানা’ চালু করলেন এক চিকিৎসক। তাঁর নাম শঙ্কর রামচন্দানী। বুরলার বীর সুদ্র সাঁই ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্য়ান্ড রিসার্চ (VIMSAR) এর অ্য়াসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তিনি। সম্প্রতি তিনি সমাজের দরিদ্র মানুষের জন্য এমন একটি ক্লিনিক চালু করেছেন। এখানে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পাবেন সাধারণ মানুষ।

তিনি জনিয়েছেন, দরিদ্রদের ও সমাজে যারা বঞ্চিত তাদের তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে চান। এই এক টাকা ফি নেওয়া তারই একটা অংশ। বছর আটত্রিশের এই চিকিৎসক বলেন, “আমি VIMSAR-এ যোগ দিই সিনিয়র হিসেবে। আর সিনিয়রদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অনুমতি নেই। তাই আমি এক টাকার বিনিময়ে ক্লিনিক খুলতে পারিনি। কিন্তু যখন আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে উন্নীত হলাম আমি আমার ডিউটি আওয়ার্সের পর প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অনুমতি পেলাম। এখন একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক টাকার ডাক্তারখানা খুলেছি।”

কিন্তু এক টাকা নেওয়ার মানেটাই বা কী? কেন তিনি এক টাকা নেওয়ার কথা ভাবলেন? রামচন্দানী জানিয়েছেন, তিনি দরিদ্র মানুষের থেকে এক টাকা নেন যাতে তারা না ভাবে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়েছে। চিকিৎসার জন্য অন্তত সামান্য কিছু হলেও দিয়েছে তারা।

বুরলা শহরের কাচ্চা মার্কেট এলাকায় রয়েছে এই ডাক্তারখানা। সকালে ৭টা থেকে ৮টা ও রাতে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত এই ডাক্তারখানা খোলা থাকে। এই ডাক্তারখানা খোলার পর থেকে দরিদ্রদের সেবার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তার পাশাপাশি বৃদ্ধ, শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদেরও চিকিৎসা করার সুযোগ আসছে। রামচন্দানী বলেছেন, “আমি মাসের ডাক্তার। ক্লাসের নই।” তিনি বলেন প্রতিদিন এই শহরে প্রচুর মানুষ আসেন ডাক্তার দেখাতে। এক এক জন জন চিকিৎসকের কাছে তো লম্বা লাইন পড়ে যায়। সেই লাইনে যেমন দরিদ্র মানুষ থাকেন তেমনইই থাকেন বৃদ্ধ, শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষও। লাইনে ঠায় দাঁড়য়ে থাকতে তাদের কষ্ট হয়। তাঁদের যাতে সেই কষ্ট না হয় তাই নিজের এক টাকার ডাক্তারখানায় তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রামচন্দানী।

তাঁর স্ত্রী শিখা রামচন্দানীও চিকিৎসক। তিনি ডেন্টাল সার্জেন। স্বামীর এই ভাল উদ্যোগে তিনিও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বামীর পাশাপাশি তিনিও ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা করেন। সবেমাত্র শুক্রবার এই ডাক্তারখানা শুরু হয়েছে। আর প্রথমদিনই এর রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৩। বোঝাই যাচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর এই উদ্যোগ শুরুর দিন থেকেই হাসি ফুটিয়েছে সাধারণ মানুষের মুখে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।