কথায় বলে ভগবানের দর্শন পেতে গেলে সাধনা করতে হয়। জীবনের মোহ-মায়া ত্যাগ করে শুধুই তার উপাসনায় নিজেকে সপেঁ দিতে পারলেই ঈশ্বরলাভ সম্ভব। কিন্তু মানুষ হয়ে জন্মালে কি তার সাংসারিক মোহ বা নিজস্ব স্বার্থ থাকবে না? ইতিহাস ও গবেষণা বলছে এমন অনেক মানুষ আছে যারা আমাদের থেকে আলাদা। তাই তাদের লোভ, মায়া, মমতা, ক্ষোভ কিছুই নেই। এমন মানুষদের সন্ন্যাসী বা যোগী বলে। তবে এর পরেও একদল আছে যারা তাদের চেয়েও কঠোর জীবনযাপন করছে। সচরাচর তাদের দেখা পাওয়া যায় না। কারণ তারা নিরিবিলিতে গভীর জঙ্গলে বা পাহাড়ের চূড়ায় ধ্যানমগ্ন। তারা মনেপ্রাণে শিবের উপাসক। এদের বলা হয় অঘোরী।
আপনারা এদের দেখা পেতে হলে শিবরাত্রিতে চলে যান মহাদেবের যে কোনো দুর্গম মন্দিরে। দুর্ভেদ্য অরণ্য বা পাহাড় থেকে এরা বেরিয়ে আসে শিবের পায়ে অর্ঘ্য নিবেদন করতে। মণিকর্ণিকার ঘাটেও দেখা পেতে পারেন এদের। অঘোরীদের জীবনযাপনের ধরণ বীভৎস ও কঠোর থেকে কঠোরতর হয়ে থাকে। সাধনা পদ্ধতি যেমন ভয়ানক তেমন স্বভাবেও উগ্র এরা নিজেরাও। বলা হয় এর নাকি প্রবল ক্ষমতার অধিকারী। খরা বা বন্যা আনতে পারে আবার আবহাওয়াও বদলে দিতে পারে তারা। মানুষের এমন কোনো জিনিস নেই যা এদের সাধনায় লাগে না। মাথার খুলি, মল, মূত্র, মদ, মানুষের মাংস, প্রাণীর মাংস সবই এদের তপস্যায় দেখতে পাবেন।
খাওয়া-দাওয়াও হয় অস্বাভাবিক। মৃতদেহ থেকে তেল বের করে এরা বানায় ওষুধ যা নাকি অনেক কঠিন ব্যাধির ওষুধ। মৃত মানুষের জামা-কাপড়ই এদের পরিধান। শরীরে মাখে মৃতের পোড়া ছাই। আবার গুরু থাকে এক একটি দলের। টানা ১২ বছর সাধনার পর এরা অঘোরী তকমা ধারণ করতে পারে। সেই থেকেই পাল্টে যায় এদের ধর্মীয় জীবনযাপন পদ্ধতি। গুরুর অধীনে থেকেই কাটাতে হয় জীবন। এমনকি ঠিক যেভাবে দুঃস্বপ্নেও মানুষ ভাবে না ঠিক সেভাবেই মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করতে হয় এদের। মানুষকে গায়েব করার ক্ষমতাধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান নাকি?
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.