বিজেপি অফিস ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের, বিস্ফোরক গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক

তৃণমূলের (trinamool congress) বিক্ষোভের জেরে দলীয় অফিসে আটকে পড়লেন ডায়মন্ড হারবারের (diamond harbour) বিধায়ক (mla) দীপক হালদার (dipak halder)। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এমাসের একেবারে শুরুতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (bjp) যোগ দেন দীপক হালদার। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এদিনের বিক্ষোভ সম্পর্কে দায় এড়িয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী।

ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির বৈঠক

কপিলমুনির আশ্রম থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিজেপির শেষতম পরিবর্তন যাত্রা। যার সূচনা করতে ১৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই পরিবর্তন যাত্রা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘোরার কথা। সেই পরিবর্তন যাত্রা যাবে ডায়মন্ড হারবারেও। সেখানে এই কর্মসূচি কীভাবে পালন করা হবে তা নিয়ে এদিন ডায়মন্ড হারবারের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিল বিজেপি। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন আশপাশের এলাকার মণ্ডল সভাপতিরা।

বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দীপক হালদারও

এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সদ্য তৃণমূল ত্যাগী বিধায়ক দীপক হালদারও। কিন্তু তিনি দলীয় অফিসে ঢুকতেই সেই অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখা থাকেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। মুহুর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। অভিযোগ সেইসব তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা লাঠি হাতে নিয়ে দীপক হালদারের নাম করে হুমকি দিতে থাকে। খবর পেয়েই সেখানে যায় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ পার্টি অফিসে আটকে পড়েছিলেন বিধায়ক দীপক হালদার।

বিস্ফোরক দীপক হালদার

এদিনের বিক্ষোভ নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক দীপক হালদারা। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের সব দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যেতে পারে। সেই কারণে দুষ্কৃতীদের দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক গণ্ডগোল তৈরির চেষ্টা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন দীপক হালদার। বলেছিলেন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও পিকের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।

শুভেন্দু-রাজীবের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ

এমাসের একেবারে শুরুর দিন তৃণমূল ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। স্পিড পোস্টে চিঠি পাঠিয়ে তিনি দলীয় পদে ইস্তফা দেন। একটি চিঠি তিনি পাঠান, তৃণমূল ভবনে, অপরটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বাড়িতে। তবে তিনি দলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী বলেই পরিচিত ছিলেন। এরপর তিনি সেদিনই বারুইপুরে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন।

তৃণমূলে যোগ দিয়েই কালিরামের ঢোল ফাঁসানোর হুঙ্কার! কাকে নিশানা বিজেপিত্যাগী নেতার

More MLA News