স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের প্রস্তাবকে কটাক্ষ করলেও সেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ বার্তা দিল বাম-কংগ্রেস৷ দু-দলেরই বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দিলে তারা ভেবে দেখবে৷
বিজেপি-কে রুখতে ইঙ্গিতে বাম-কংগ্রেসকে পাশে চেয়েছেন তৃণমূলের প্রবীন নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়। তাঁর কথায়, “একসঙ্গে লড়তে হলে বাম-কংগ্রেসের মিছিলে হাঁটতে রাজি।” বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি কেউ বিজেপিকে আটকাতে পারে তিনি হলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাম-কংগ্রেসের একার পক্ষে বিজেপিকে আটকানো সম্ভব নয়৷” যদিও তাপস রায়ের অনুরোধকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম।
এপ্রসঙ্গে সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা তিনটে কথা বলতে চাই৷ প্রথমত, তৃণমূল স্বীকার করে নিচ্ছে, ওদের একার ক্ষমতা নেই বিজেপিকে আটকানোর৷ আমার প্রশ্ন, তৃণমূল বলে বামেদের এরাজ্যে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হয়, তাহলে এখন বামেদের দরকার হচ্ছে কেন? দ্বিতীয়ত, আমাদের কোনও মিছিলে দয়া করে ঢুকবেন না৷ কারণ তারপরই সেই মিছিল থেকে বেরিয়ে আপনারা বিজেপিতে যোগ দেবেন৷ এরপরই সুজন বলেন, তাপস রায় নয় যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে কিছু বলেন তাহলেই আমরা এব্যাপারে যা জানার জানাব৷”
অনেকটা একই সুর প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যর গলাতেও৷ তিনি বলেন, “তৃণমূল এব্যাপারে আমাদের কাছে অফিসিয়ালি আবেদন জানাক৷ তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব৷” অতএব, দু-দলের বক্তব্যে স্পষ্ট, তাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকেই একসঙ্গে লড়াই করার কথা শুনতে চাইছে৷
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার৷ তিনি বলেন, “এর আগেও তৃণমূলের থেকে বাম-কংগ্রেসকে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া হয়েছিল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিধানসভায় আব্দুল মান্না, সুজন চক্রবর্তীদের ডেকে এব্যাপারে কথা বলেছিলেন৷ মাঝে সৌগত রায়ও বলেছিলেন৷ এবার তাপস রায় একসঙ্গে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন৷ আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রথম থেকে বলছে, এই তিন দল নিজেদের মধ্যে ব্লু-প্রিন্ট বানিয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার৷ এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, এই কথাটা প্রকাশ্যে কেন স্পষ্ট করে বলছে না তৃণমূল?”
জয়প্রকাশ বলেন, “বাংলা মানুষ চায় না, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরি করতে৷ তাই এই নির্বাচনটা রাজ্যবাসীর কাছে নতুন করে স্বাধীনতা সংগ্রাম৷ বিজেপি একক শক্তিতে লড়বে এবং ২০০ বেশির আসন পাবে৷”
হলদিয়ার জনসভায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, পর্দার আড়ালে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা চলছে বাম ও কংগ্রেসের। তিনি বলেছিলেন, ‘‘গোপন বন্ধুত্ব থেকে সাবধান থাকুক। পর্দার আড়ালে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা চলছে। দিল্লিতে একসঙ্গে বসে রণকৌশল তৈরি করেন এঁরা। কেরলে তো বাম-কংগ্রেসের সমঝোতাই রয়েছে, যে ৫ বছর তোমরা লুঠপাট চালাও, ৫ বছর আমরা চালাব। এখানেও সেই ষড়যন্ত্রে চলছে। এদের সমর্থনে ভোট নষ্ট করলে ধোঁকাবাজির শিকার হবেন আপনারা।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.