বিশ্ব মহামারী যে শুধু আমাদের শরীরের উপরেই প্রভাব বিস্তার করেছে তা তো নয়. সার্বিকভাবে আমাদের মনকেও ভাবিয়ে তুলেছে। লক ডাউনের সময়ে মানুষের মনে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা, আবার কেউ কেউ অন্যান্য সমস্যায় পড়েছেন। বাড়িতে থেকে অফিস করা আবার সেই সঙ্গে অফিস সামলানো, এই কালচারে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও লাভবান হয়েছে খাদ্যরসিকরাই। একদিকে বাড়িতে নানা স্বাদের পদ রান্না, আবার অন্যদিকে জিম বন্ধ থাকায় বাড়িতেই সারতে হচ্ছে যাবতীয় ফিটনেস। কিন্তু জিম আর খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণ একে অপরের পরিপন্থী। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে বাড়িতেই থাকাটা আপনার রোজনামচা নয়। এটা শুধু এই বিশেষ সময়কে মাথায় রয়েছে নিয়ম বানানো হয়েছে। পরে সব স্বাভাবিক হলে আবার অফিস ফিরতে হবে আপনাকেও। আচমকা এইসময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়াটাও দুষ্কর হয়ে পড়বে। তাই আপনার এমন অবস্থা হলে নীচের আলোচনাগুলি আপনারই জন্যে।
১. বাড়িতে মজুত রাখুন নানা শুকনো ফল, বাজারের কেনা মরশুমি ফল ও মিষ্টি। মাঝে মাঝেই সেটা খেতে পারেন তবে পরিমাণ যেন হয় পরিমিত।
২. ভাজাভুজি, চিপস, চপ খাওয়াটা কমিয়ে ফেলুন। খুব ইচ্ছে না হলে খাবেন না। রোজ এসব খাওয়া তো একেবারেই না।
৩. সেদ্ধ আলু, ছোলা, বাদামভাজা, তেঁতুলের চাটনি, ভাজা মশলা ইত্যাদি দিয়ে আলুকাবলি বানিয়ে দিন। বিকেলের খাবারের জন্যে একদম পারফেক্ট। তাহলে আর পিৎজা বা চাউমিনে মন বসবে না। আবার ঝালমুড়ি মাখা, চাট নিজে বানিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। নানা মশলাদার খাবারও বাড়িতে বানানো যায় নিজের ডায়েটকে মাথায় রেখে।
৪. রোজ আপনার ও পরিবারের জন্যেও লাঞ্চ ও ডিনারের নির্দিষ্ট সময় বানিয়ে ফেলুন। খুব দরকার না পড়লে সেই সময়ের বাইরে না যাওয়ারই চেষ্টা করবেন।
৫. বাড়ির বাচ্চাদের রোজ কেনা খাবার দেবেন না। তাদেরকেও শেখান বাড়ির খাবার খাওয়ার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা। এছাড়াও রোজ পয়সা খরচ করে বাইরের খাবার খাওয়ার বিলাসপ্রিয়তা ত্যাগ করাই শ্রেয়।
৬. অন্যদিকে, যাঁদের হার্টের সমস্যা বা ডায়াবিটিস আছে, তাদের বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.