গতিবিধির উপর নজরদারি! ছবি সামনে এনে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল সাংসের

অনুমতি ছাড়াই নজরদারির অভিযোগ! নজর রাখা হচ্ছে তাঁর গতিবিধির উপর। বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। আর সাংসদের চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। গত সোমবার সংসদে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর এহেন মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয় সারা দেশে। সেই উত্তাপ মিটতে না মিটতেই ফের শিরোনামে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। এবার সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ।

পুলিশের কাছে অভিযোগ মহুয়া

এদিন তৃণমূল সাংসদ প্রথমে তিনটি ছবি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, বিএসএফের তিন জওয়ানকে সাংদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে সবপক্ষ। দিল্লি পুলিশকে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান তৃণমূল সাংসদ। দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে মহুয়ার আর্জি, এই নিরাপত্তারক্ষীদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত চিঠিতে একাধিক অভিযোগ করেন মহুয়া মৈত্র। যেখানে তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই বাসভবনের বাইরে তিন অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে।

গতিবিধির উপর নজরদারি করা হচ্ছে

তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, কীভাবে বাহিনীর তিন জওয়ানকে তাঁর বাড়ির সামনে পোস্টিং দেওয়া হল। এই প্রসঙ্গে তাঁর মারাত্মক অভিযোগ, গতিবিধির উপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বরাখাম্বা রোড পুলিশ স্টেশন এবং দিল্লি পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তবকে লেখা চিঠিতে মহুয়া জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে যান বরাখাম্বা পুলিশ স্টেশনের এসএইচও। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিন সশস্ত্র বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয় তাঁর বাসভবনের বাইরে। কিন্তু তিনি কোনও নিরাপত্তা চাননি বলেই দাবি মহুয়ার। কেউ বা কারা তাঁর উপর নজরদারি চালানোর জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি সাংসদের।

নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকারের কথা মনে করান মহুয়া

মহুয়া তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে দিল্লি পুলিশকে দেওয়া চিঠি পোস্ট করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, অমিত শাহকে টুইটে ট্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে দিল্লি পুলিশকেও ট্যাগ করেছেন মহুয়া মৈত্র। সেখানে দিল্লি পুলিশকে তিনি নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন একদিকে। অন্যদিকে, আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই যে তিনি থাকতে চান সেই বিষয়টিও দিল্লি পুলিশকে একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন মহুয়া। চিঠিতে তৃণমূল সাংসদ লেখেন, এই জওয়ানদের কাজকর্ম দেখে তাঁর মনে হয়েছে যে, তাঁর আসা-যাওয়ার উপর নজরদারি করা হচ্ছে। এরপরে তাঁর ব্যাক্তিগত স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেই দাবি মহুয়ার। একই সঙ্গে দ্রুত নিরাপতারক্ষী প্রত্যাহার করার কথা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাসভবনের বাইরের ছবি দিয়ে মহুয়ার কটাক্ষ, বিএসএফের কাজ সীমান্ত রক্ষা করা। তাঁদের দিয়ে আমার বাড়ির দারোয়ানের কাজ করানো লজ্জার বিষয় নয় কি? দিল্লি পুলিশ কমিশনার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে টুইট মহুয়ার।

More মহুয়া মৈত্র News