স্টাফ রিপোর্টার, পাশকুঁড়া : শিল্প ও কর্ম সংস্থানের দাবিতে ১০টি বাম ছাত্র যুব সংগঠন ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের ডাকে যৌথভাবে নবান্ন অভিযান গিয়ে নিখোঁজ বাম কর্মী।
জানা গিয়েছে , গত ১১ ফেব্রুয়ারি বামেদের ডাকা নবান্ন অভিযানে গিয়েই নিখোঁজ হন পাশকুঁড়া থানার বাহারপোতা গ্রামের বাসিন্দা দীপক পাঁজা।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিবেশী বাম কর্মীদের সঙ্গে নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে গেলেও আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান দীপক পাঁজা। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল এবং পুলিশকেই দায়ী করেছেন পাশকুঁড়ার বিধায়ক ইব্রাহিম আলী।
পরিবারের তরফে এই বিষয়ে পাশকুঁড়া থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও হাওড়ার শিবপুর থানায় এই বিষয়ে খোঁজ খবর করার জন্য যাচ্ছে প্রতিনিধিদল।
এই ব্যাপারে নিখোঁজ বাম কর্মীর স্ত্রী সরস্বতী পাঁজা বলেন, “গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে কলকাতার যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা জানায় ওনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্ত্রীর কাতর আর্জি পড়াশোনা জানেন না দীপকবাবু তাই পুলিশ যদি ওনার স্বামীকে খুঁজতে সাহায্য করেন। কোথায় আছেন ? কি অবস্থায় আছেন ? তাই নিয়ে গভীর চিন্তায় সরস্বতী দেবী।
যদিও এই নিখোঁজের পিছনে পুলিশ ও তৃণমূল দায়ী বলেই অভিযোগ করেন বিধায়ক ইব্রাহিম আলী। এই বিষয়ে হাওড়া শিবপুর থানা ও নিউ মার্কেট থানায় প্রতিনিধি দল গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ছিল ১০টি বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান৷ ওই মিছিল ডোরিনা ক্রসিং এ পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়৷ মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে প্রথমে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস এবং পরে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন ছাত্রের মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ করে এসএফআই।পুলিশের লাঠির আঘাতে অন্তত ৫০ জন বাম সমর্থক জখম হয়েছে বলে দাবি সংগঠনের৷
অন্যদিকে কলকাতায় ধর্মতলা ডোরিনা ক্রশিং এলাকায় যে পরপর ব্যারিকেড করা হয়। তারই একটি ভেঙে বাম সংগঠনগুলির মিছিল এগোতেই শুরু হয় লাঠি চার্জ। জলকামান চার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হতেই মিছিল আরও মারমুখী হয়ে ওঠে।ধর্মতলায় বাধা পেয়ে মৌলালিতে অবরোধ, বিক্ষোভ বাম ছাত্র যুব সংগঠনের। সেখানেও লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ হঠায় পুলিশ।
বাম সংগঠনগুলির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে রাজ্যের কর্মসংস্থান শিকেয় উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করা ‘ব্যাপক কর্মসংস্থান’ আদতে ভুয়ো। শিল্পের দাবি ভিত্তিহীন।
দশটি বাম সংগঠনের দাবি, সরকারকে লাল কার্ড দেখতেই এই মিছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাত স্পষ্ট। এই আঁতাত কে কটাক্ষ করে বামেদের দাবি, মিছিলের অন্যতম স্লোগান যাহা নবান্ন তানাখ ছাপান্ন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.