হাওড়া : তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন সহায়ক পদে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নদীবাঁধ সংস্কারে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা।
আর তা নিয়েই জোর শোরগোল শুরু হয়েছে হাওড়ার রাজনীতিতে। উল্লেখ্য, প্রায় প্রতিবছর বর্ষাকালে ডিভিসির ছাড়া জলে উদয়নারায়ণপুর, আমতা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়। কয়েক লক্ষ মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। তা রুখতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। সেচ দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তাতেই প্রচুর দুর্নীতি করেছেন প্রাক্তন সেচমন্ত্রী, এমনটাই অভিযোগ করেছেন গ্রামীণ হাওড়ার এই বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর অবজ্ঞা, অবহেলায় অনেক কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। তাঁর কাজে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,”যে অর্থে কাজটি করা সম্ভব, তিনি তার থেকে বেশি অর্থে কায়দা করে প্ল্যান বানিয়েছিলেন। এতে নিশ্চিত দুর্নীতির গন্ধ আছে। মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝতে পেরে গোপনে খোঁজ নেন। অসঙ্গতি বুঝতে পারায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সরিয়ে দেন।” রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক।
বন সহায়ক পদে নিয়েোগের ব্যাপারে রাজীব দুর্নীতি করেছেন বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘কেউ কেউ এদিক ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যেতে দিন। যে বেশি দুর্নীতি করেছে, সে তো পালাবেই। আমি সবাইকে জানি, কে কী করেছে। ওদের লম্ফ-ঝম্ফ সব বন্ধ হয়ে যাবে। বিধানসভার পরে দেখব।’
তিনি এও বলেন , ‘যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে ও কিছু কারসাজি করেছে। আমরা তার তদন্ত করছি। আজ থেকে ৭-৮ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে আমরা করতে পারব না। কিন্তু তদন্ত চলবে। কিন্তু এর পরে আপনারা যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের দাবি সত্যি হলে আমরা পুনর্বিবেচনা করব।’
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বন সহায়ক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বনবস্তির বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই যাঁরা স্বেচ্ছায় বন-জঙ্গল রক্ষার কাজ করছেন, সুবিধা পাবেন তাঁরাও। কিন্তু এই নিয়োগ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.