স্টাফ রিপোর্টার: “বাংলা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের সরানোর হুমকি না দিয়ে অরুণাচলে যারা গ্রামে ঢুকে বসে আছে আগে তাদের সরাও।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির ঢোলা-র সভা মঞ্চ থেকে এই ভাবেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কোচবিহার ও ঠাকুরনগরে সভা করতে এসে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “বাংলা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটা পায়রাও উড়ে আসতে পারবে না।” এই প্রসঙ্গে শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে নাম করে চ্যালেঞ্জ জানান।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঢোলা-র সভা থেকে অমিত শাহের নাম করে বলেন, “এই তো সি এ এ নিয়ে বলতে এসে বলে গেলেন ভ্যাকসিনের পর সি এ এ হবে। অরে ভ্যাকসিন হতে ১০ বছর লাগবে । সি এ এ আইনের রুলই তৈরী হয়নি। এসব নিয়ে মতুয়াদের বিভ্রান্ত করছেন অমিত শাহ। মতুয়াদের বলছে নাগতরিকত্ব দেবে।মফতুয়ারাতো নাগরিক। না হলে তাদের ভোটে তুমি কী করে জিতলে? বলছে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াবে।ওরে আগে পারলে অরুণাচল প্রদেশে যারা ঢুকে বসে আছে, গালোয়ানে যারা ঢুকে বসে আছে তাদের তারাও। অরুণাচলে গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে যারা বসে আছে তাদের পারলে তারাও। আমরা তো বলছি দেশের অখণ্ডতার প্রশ্নে আমরা পাকিস্তান, চীন যে-ই ভারতের ভূখণ্ড দখল করে আছে তাদের তাড়াতে হবে।পারলে সেটা করো।”
প্রসঙ্গত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন যা বললেন এই একই কথা দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলে আসছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী একই কায়দায় বলেছেন নরেন্দ্র মোদীর সাহস থাকলে চীনের যে সেনারা ভারত ভূখণ্ড দখল করে বসে আছে তাদের আগে সরাক। আর শনিবার সেই একই কথা শোনা গেলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তিনিও এই একই ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ জানালেন অমিত শাহকে।
তবে রাজনাথ সিং সংসদের বৃহস্পতিবার সংসদে জানিয়েছেন লাদাখ সীমান্তে সেনা সরানো নিয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। রাজনাথ সিং জানিয়েছেন ভারত এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েনি। তবে সেখানে অরুণাচলের প্রসঙ্গ ছিল না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.