কলকাতা: ‘রিমুভ রিমুভ রিমুভ এটিকে।’ এই ভাষাতেই সমর্থকদের গগনভেদী চিৎকারে শনিবার দুপুরে কান পাতা দায় ছিল গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাব তাঁবুতে। দু’বছর আগে এমনই এক বার্ষিক সাধারণ সভার দিনে ক্লাবেরই দু’পক্ষের মধ্যে বচসায় কলঙ্কিত হয়েছিল মোহনবাগান ক্লাব তাঁবু। শনিবার ঠিক তেমনই একটা বার্ষিক সাধারণ সভার দিনকেই সমর্থকেরা বেছে নিয়েছিলেন প্রতিবাদ জানানোর জন্য।
সংযুক্তিকরণের পর চলতি আইএসএলে এটিকে-মোহনবাগান নামে আত্মপ্রকাশে সময় থেকেই মোহনবাগান সমর্থকেরা গর্জে উঠেছিলেন বিষয়টা নিয়ে। জার্সির রং অটুট রেখেও সমর্থকদেরকে দমানো যায়নি। নামের আগে থেকে ‘এটিকে’ প্রেফিক্সটা অবিলম্বে সরাতে হবে।
এমন দাবিতেই আইএসএলের শুরু থেকেও ‘রিমুভ এটিকে’ হ্যাশট্যাগে ভরে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। সমস্যা আরও জটিল হয় তৃতীয় কিট নিয়ে। মরশুমের শুরুতে এটিকে-মোহনবাগান বোর্ডের অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশিস দত্ত তৃতীয় কিট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না দিলেও আইএসএলে দু’টি ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগান তৃতীয় কিট পরে মাঠে নেমেছিল, যে কিট গত মরশুমে এটিকে’র অ্যাওয়ে কিটের হুবহু নকল। এই ঘটনার পর থেকেই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়।
আর সেই কারণেই ১৩১ বছরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এদিন এজিএম চলাকালীন মোহনবাগান ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ’য়ে শ’য়ে বাগান সমর্থক। তাঁদের দাবি আইএসএল চলাকালীন ধারাভাষ্যকারেরা এটিকে-মোহনবাগানকে বারংবার এটিকে সম্বোধন করে সমর্থকদের আঘাত দিয়ে চলেছেন। আর তাই মূলত যে দাবি নিয়ে এদিন তারা সরব হয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম – ১. মোহনবাগানের নামের আগে এটিকে প্রেফিক্স সরাতে হবে, ২. আরপিএসজি’র সঙ্গে গাঁটছড়া ভঙ্গ করতে হবে। ভঙ্গ না করলেও এমন সমঝোতায় আসতে হবে যাতে মোহনবাগান প্রাধান্য পায়।
জানা গিয়েছে, বাইরের মত ক্লাব তাঁবুতে সভা চলাকালীনও বিষয়টি নিয়ে অনেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এটিকে-মোহনবাগানের বোর্ড ডিরেক্টরদের। শেষে সমর্থকদের বিক্ষোভের বিষয়টি জানতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন অন্যতম ডিরেক্টর সৃঞ্জয় বোস।
তিনি সভার ভিতরে থাকা প্রতিনিধিদের প্ররোচনায় পা দিতে নিষেধ করেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন সৃঞ্জয়। যেখানে তিনি বলেন, ‘যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাদের বক্তব্যকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের ভাবতে হবে এটিকে চলে গেলে কি হবে আমাদের। বাংলা ফুটবলে ভাল বিনিয়োগ নেই। বেঙ্গালুরুর মত দল মন্দায় ভুগছে। তাই যারা লগ্নী করছে তাদেরও সম্মান প্রাপ্য।’
যদিও ক্লাব তাঁবুর বাইরে পুলিশি মোতায়েনের বিষয়টিই বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে সমর্থকদের এমন বিক্ষোভ আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন ক্লাব কর্তারা। এদিন সধারণ সভায় মোহনবাগান রত্ন তুলে দেওয়া হয় প্রাক্তন হকি তারকা কিংবদন্তি গুরবক্স সিং’য়ের হাতে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.