বোলপুর: ফের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশ্নপত্র খোয়া যাওয়ায় বাতিল হয়ে গেল বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের স্নাতক স্তরের নাচ ও গানের পরীক্ষা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই সংগীত ভবনের স্নাতক স্তরের নাচ ও গানের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। শনিবার দুপুরে আচমকাই প্রশ্নপত্র খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। এরপরই হুলস্থূল কাণ্ড পড়ে যায় বিশ্বভারতী চত্বরে। কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তারপরেই পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নিয়ে ফের প্রশ্ন। সংগীত ভবনে রাখা ছিল প্রশ্নপত্র। স্নাতক স্তরের নাচ ও গানের পরীক্ষা ওই প্রশ্নপত্রেই নেওয়া হবে বলে ঠিক ছিল। করোনাকালে পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে রীতিমতো তোড়জোড়ো শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে গোল বাঁধে শনিবার দুপুরে। হঠাৎ প্রশ্নপত্র পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যায়। মুহূর্তে গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে হুলস্থূল পড়ে যায়। সংগীতভভনেরই যে জায়গায় প্রশ্নপত্র রাখা ছিল সেটি বারবার তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখা হয়। এরপরেও মেলেনি প্রশ্নপত্র। শেষমেশ পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গোটা বিষয়টি শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। এভাবে সংগীত ভবনের ভিতর থেকে কীভাবে প্রশ্নপত্র উধাও হয়ে গেল তদন্ত করতে গিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশও। যদিও সব দিক খতিয়ে দেখে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন পুলিশ অফিসাররা। সংগীত ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফুটেজের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র খোয়া যাওয়ার বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিন, প্রশ্নপত্র খোয়া যাওয়ার পর থেকেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আধিকারিক ও কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়। আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নিয়েই তড়িঘড়ি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করেন। যদিও সংগীত ভবনের স্নাতক স্তরের নাচ ও গানের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করা হলেও নতুন করে কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.