নয়াদিল্লি : লোকসভায় জম্মু কাশ্মীর নিয়ে বিশেষ আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এদিন নিজের বক্তব্যে তিনি জানিয়ে দিলেন সঠিক সময়ে পূর্ণ মর্যাদায় রাজ্যের সম্মান দেওয়া হবে জম্মু কাশ্মীরকে। সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে কেন্দ্র। নির্দিষ্ট সময়ে তা আরোপিত হবে। জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার লোকসভায় অমিত শাহ বলেন এই অধিবেশনে বহু সাংসদ জম্মু কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছেন, তা ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। সঠিক সময়ে কেন্দ্র পদক্ষেপ নেবে। কোথাও এটা লেখা নেই যে জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে না। তাই এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতা অযৌক্তিক। বিরোধীরা যেন কোনও অবাস্তব উপসংহারে না পৌঁছয়।
এই বিষয়ে এদিন বিতর্ক উত্থাপন করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন কেন্দ্রকে জানাতে হবে যে জম্মু কাশ্মীরের জন্য কী কী কাজ করা হয়েছে। কবে জম্মু কাশ্মীর স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা পাবে। এদিন এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে একহাত নেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন খুব দ্রুত জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ পাশ করে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কেন্দ্র এটা জানাচ্ছে না যে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে এতগুলো বছর কেটে গেলেও, কী কাজ করা হয়েছে।
শনিবার অধীর রঞ্জন বলেন কংগ্রেসের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। কাশ্মীরে নতুন কোনও কর্মসংস্থান নেই, কোনও শিল্প নেই, নয় হাজার কোটি টাকার শিল্প পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তার কি জবাব দেবে কেন্দ্র। এরপরেই জবাবি ভাষণে প্রত্যুত্তর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন জম্মু কাশ্মীরের উন্নয়নে সদা সচেষ্ট কেন্দ্র। কিন্তু বিরোধীরা গত ৭০ বছর ধরে কি কাজ করেছেন কাশ্মীরে, সেটা না বিচার করে গত ১৭ মাসের কাজের হিসেব চাইছে্ন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ই অগাষ্ট জম্মু কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন কাশ্মীর এখন অনেক শান্ত৷ বিশ্বকে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, সদর্থকভাবে চাইলে যে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ কোনও তৃতীয় শক্তির কাছে মাথা নত না করেই ভারত কাশ্মীরকে শান্ত করেছে, এখানেই মোদী সরকারের সাফল্য৷ গত তিন দশকে ৪২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন কাশ্মীরে৷ সেই মৃত্যু মিছিল বন্ধ করতে চেয়েছে ভারত৷ কাশ্মীরকে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতই এক স্বাভাবিক জীবন উপহার দিতে চেয়েছে৷ সেই লক্ষ্যে এখন সফল মোদী সরকার৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.