স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : ভোটের আগে বাঙালির থেকে ভোট নিয়ে বাঙালিকে ধ্বংস করার পুনর্বার চক্রান্ত শুরু করেছে বিজেপি। এমনটাই দাবী বাংলাপক্ষের। তাই বাঙালিকে সাবধানী বার্তা দিতে মাঠে নামছে তারা। দাবী, এই কাজ করতে বিজেপির অস্ত্র এনআরসি।
বাংলা পক্ষের তরফে কৌশিক মাইতি বলেন , ‘কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বাঙালিকে কাঙালি ও উইপোকা বলা গুজরাটি অমিত শা ভারতের মাটিতে বাঙালিকে রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্ত করেছে, তার নীল নকশা ফাঁস হয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরের মাটিতে, যেখানে অমিত শাহ এসে পরিষ্কার বলে গিয়েছে যে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিয়মাবলী প্রকাশ করা হবে না। প্রথমে ভয় দেখিয়ে তারপর বাঁচানোর মিথ্যা নাটক করে শুধু ২০১৯-এর লোকসভা না, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও তারা বাঙালির থেকে ভোট নিয়ে বাঙালিকেই ধ্বংস করতে চায়, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।’
একইসঙ্গে এই সংগঠন জানিয়েছে , ‘ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপির স্থানীয় বঙ্গজ দালালদের এই বিষয়টি নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার প্রক্রিয়া। তাই বাংলা ও বাঙালির সামনে, বিশেষত বাংলা ভাগের বলি হয়ে পশ্চিম বাংলায় আসা নিপীড়িত মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে এই মারাত্মক বাঙালি বিরোধী শক্তির বাঙালি বিরোধী চক্রান্ত ফাঁস করে দিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরের পবিত্র মাটিতে, নেতাজি মূর্তির সামনে বাংলা পক্ষ একটি বিশাল সভার আয়োজন করেছে।’
বাংলাপক্ষা জানাচ্ছে , ‘১৬ অক্টোবর ২০১৯-এ, সিএএ আইন পাশ হবার আগে ঠিক একই স্থানে বাংলা পক্ষ সভা করে। সেই সভায় বাংলা পক্ষর নেতৃত্ব কমিটির সদস্য গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ঠাকুরনগরের মানুষকে জানিয়ে দেয় সেই সত্যগুলি যা আজ আসাম, ত্রিপুরা, বাংলা সহ সারা ভারতের বাঙালির কাছে জলের মত পরিষ্কার। ১) সিএএ আইনে কোথাও ১৯৭১-এর পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু বাঙালির নাগরকিত্বের গ্যারান্টি থাকবে না। নাগরকিত্বের জন্য আবেদন করা যাবে শুধু। ২) এই আইনের মাধ্যমে আর কিছু হোক না হোক, নাগরিকদের নিজেদের বেনাগরিক বলে ঘোষণা করতে হবে।
৩) এই রকম কোন আইন অসাংবিধানিক যা আদালতে চ্যালেঞ্জ হলে টিকবে না কিন্তু নিজেকে বেনাগরিক ঘোষণা করাটা নথিতে রয়ে যাবে। ৪) নাগরিকত্বের এই আশ্বাস যে ভুয়ো, তার জন্য বাংলা পক্ষ চ্যালেঞ্জ করে যে আইনের পাশের ১ মাসের মধ্যে আবেদনকারীদের এই “নতুন” নাগরিকত্ব দিতে হবে। ৫) বিনা শর্তে ও অবিলম্বে নাগরিকত্ব দেওয়ার মত আইন চাই, নাহলে তা অর্থহীন শুধু হয়, ভয়ঙ্কর।’
কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, ‘আজ ২ বছর পর বাংলা পক্ষর সেই ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৯-এ সভার দিন বাংলা পক্ষর নাম ব্যাপক মিথ্যা প্রচার সহ সভা চলাকালীন বারংবার মেরে ফেলার হুমকি, মাইকের তার কেটে দেওয়া, সভা পন্ড করার নানা চক্রান্ত উপেক্ষা করে বাংলা পক্ষ বাংলা ও বাঙালির শত্রু বিজেপির এই মিথ্যা সবার সামনে প্রকাশ করে দেয়। যার ফলে মতুয়া সম্প্রদায় তথা বাকি সব বাঙালির মাঝে বিজেপি ও তার দালালরা এনআরসি ও সিএএ নিয়ে কিছু বলা বন্ধ করে দেয়।’
তিনি জানিয়েছেন , ‘সত্য ও তথ্যের ভিত্তিতে বাঙালির শুত্রু এই বহিরাগত বেনিয়া দল ও তাদের স্থানীয় দালালদের মুখোশ জনসমক্ষে আবার টেনে ছিড়ে দিয়ে বাঙালি জাতির কাছে বাংলা পক্ষর যে দায়িত্ব, সেটা বাংলা পক্ষ পালন করবে কুরনগরে ১৩ জানুয়ারি বেলা ৪টের সময়ে নেতাজি মূর্তির সামনে বুকে ঠুকে সত্য বলার এই সভা অনুষ্ঠিত করে, যে সত্য বলার সাহস ও আদর্শ আমাদের জুগিয়েছেন হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর সহ আমাদের বাঙালি জাতির সকল মহান নেতা।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.