তৃণমূল ছাড়লেন দীনেশ
রাজ্য সভায় দাঁড়িয়ে নজিরবিহীন ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। যদিও বরাবরই দীনেশের সঙ্গে সুসম্পর্কই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপরেও দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। দীনেশ রাজ্য সভায় অভিযোগ করেছেন দলে থেকে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। অনেক কাজ তিনি করতে পারছেন না। তাই অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সুখেন্দু শেখরের আক্রমণ
দীনেশ ত্রিবেদীর এই পদক্ষেপ এক প্রকার অপ্রত্যাশিতই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। কেউ আগে থেকে আঁচ করতে পারেননি দীনেশ ত্রিবেদী এই পদক্ষেপ করবেন। তাই হঠাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের এই ঘোষণার নেপথ্যে বিজেপির হাত আছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি অভিযোগ করেছেন একুশের ভোটকে টার্গেট করে বাংলায় ঘোড়া কেনাবেচা করছে। একটি প্রথম সারির টেলিভিশন(এবিিপ আনন্দ)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
সৌগত-র আক্রমণ
দীনেশ ত্রিবেদীর দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন সৌগত রায়। তিনি অভিযোগ করেছেন ভোটের আগে এই কাজ করে ঠিক করেননি দীনেশ। দলকে বিপদে ফেলে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন দীনেশ। সেকারণেই তিনি ঠিক ভোটের আগে দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। দল নিয়ে কোনও ক্ষোভ থাকলে তিনি দলের অন্দরে কেন আগে জানালেন না এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌগত রায়। এটা একেবারেই ঠিক করেন নি দীনেশ আক্রমণ শানিয়েছেন সৌগত রায়।
ফের ভাঙন
ফের বড় উইকেট পড়ল তৃণমূল কংগ্রেসে। রাজ্যে বিধায়করা লাইন দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। মুকুল,শুভেন্দু,রাজীবরা আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেডে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সেই তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। হঠাৎ করে দীনেশ ত্রিবেদীর এই পদক্ষেপে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক নেতারাই যে গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তা স্পষ্ট হয়ে িগয়েছে দীনেশ ত্রিবেদীর এই পদক্ষেপে।