মস্কো:যদি নতুন কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে হুমকি দিল রাশিয়া। রুশ বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার উপর নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করা হলে মস্কো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য তৈরি আছে।শুক্রবার রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ।
রাশিয়ার সরকারের বিরোধী নেতা আলেক্সাই নাভালনির গ্রেফতার ও কারাদণ্ড ঘিরে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলির সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হতে দেখা গিয়েছে। মস্কোর উপর নতুন অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করার ব্যাপারে ইতিমধ্যে ইউরোপে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপ।

নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তখন রুশ বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্ক ছিন্ন করতে প্রস্তুত আছি।’ পাশাপাশি তার বক্তব্য, তারা নিজেদেরকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাই না, কিন্তু যদি সেরকম অবস্থায় পড়তে হয় তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। তিনি মন্তব্য করেন, শান্তি চাইলে যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হয়।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ‌ইউনিয়নের বিদেশ নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল মন্তব্য করেছিলেন, রুশ সরকারের বিরোধী নেতা নাভানলি ইস্যুতে অবশ্যই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এরপরই পাল্টা হুমকি দিল মস্কো।

 প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মস্কোর একটি আদালত সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে নাভালনিকে । সাত বছর আগের একটি অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্থগিতাদেশ থাকলেও তখন তিনি শর্ত লঙ্ঘন করার কারণে ওই রায় দেওয়া হয়েছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়ায়  বিরোধী দলের এই নেতার প্রতি আচরণকে আদৌ ভালো চোখে দেখছে না।

তবে ইতিমধ্য়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্য়াপারে অযথা হস্তক্ষেপ করছে এমন অভিযোগ এনে তাদের দেশ থেকে তিনটি ইউরোপিয় দেশের কূটনীতিককে বহিস্কার করে রাশিয়া। ওই তিন দেশ হল সুইডেন, পোল্যান্ড ও জার্মানি। রাশিয়ার এমন আচরণ দেখে ওই তিনটি দেশ সমালোচনায় মুখর হয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।