সেনা প্রত্যাহারের মাঝে বাড়ছে রাজৈনিতিক চাপানৌতর
এদিকে সেনা প্রত্যাহার চুক্তি অনুসারে প্যাংগং হ্রদের চিন-ভারত পক্ষই সম্মতি দিয়েছে যে তারা তাদের প্যাংগং হ্রদের দু-প্রান্তে অগ্রসর হওয়া বন্ধ করবে। চিন ফিঙ্গার ৮-এর পূর্ব দিকে উত্তর তীরে অঞ্চলে তাদের সেনা মোতায়েন রাখবে। কিন্তু তার বেশি এগোবে না। অন্যদিকে ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার ৩-এর কাছে ধন সিংহ থাপ পোস্টে তাদের স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করবে। কিন্তু ফিঙ্গার ৪-র বর্তমান অবস্থা নিয়ে কেন্দ্র কেন চুপ এদিন সেই প্রশ্ন করেন রাহুল।
দেসপাং নিয়ে কেন চুপ মোদী ? প্রশ্ন রাহুলের
পাশাপাশি প্যাংগং নিয়ে কথাবার্তা চললেও আসল সংঘর্ষ স্থল দেসপাং নিয়ে কেন মোদী সরকার নিরব সেই প্রশ্ন করেন রাহুল। এমনকী চিনকে ভয় পেয়েই ওই অঞ্চলের ভারতীয় ভূখণ্ড লালফৌজের হাতে তুলে দিয়েছেন মোদী, এমনও অভিযোগ করেন সোনিয়া পুত্র। এদিন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এসবেরই পাল্টা দিতে দেখা যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে। এমনকী ভারতে যে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কোনোরকম ‘আপোষ' করছে না তাও বলা হয়।
কী বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, " সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ধোঁয়াশা ছড়াচ্ছে। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে ভারতের তথ্যমতে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা রয়েছে আদপে ফিঙ্গার ৮-এ, ফিঙ্গার ৪-এ নয়। যদিও চিনের গতিবিধি নজরে রাখতে ভারতীয় সেনা বর্তমানে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্তই টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি সেনা প্রত্যাহারের সম্পূর্ণ গতিবিধির উপর নজর রাখতে আকাশপথেও চলছে নজরদারি।"
ভারতীয় ভূখম্ড জবর দখল করতে পারেনি চিন
অন্যদিকে প্যাংগং হ্রদের দু প্রান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অনুযায়ী স্থায়ী সেনা ঘাঁটির মাধ্যমেও পরিদর্শন চালাচ্ছে দুই দেশ। এমনকী কোনও ভূখণ্ডই চিন জবরদখল করতে পারেনি বলেও জানানো হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। এমনকী ফিঙ্গার ৪-র কাছে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনের গতিবিধির উপর কড়া নজর রেখেছে ভারতীয় সেনা।