ধনীদের স্বার্থসিদ্ধির কথাই ভাবছে কেন্দ্র
এদিকে দেশের অর্থব্যবস্থার মেরুদণ্ড পুনরায় সোজা করতে গরীব ও নিম্ন মধ্যবিত্তের হাতে টাকা দেওয়ার পক্ষেও দীর্ঘদিন থেকে সওয়াল করে আসছিলেন অর্থনীতিবিদেরা। বাজারের কেনাকাটা বাড়াতেই এই প্রয়োজনীয়তা বলে তাদের এই যুক্তি। এমনকী বাজেটের আগে মনমোহন সিং এর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের আর্থিক বিষয়ক কমিটি মানুষের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়ার দাবির পাশাপাশি গরিবদের বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছিল। কিন্তু কেন্দ্র সেসব বিষয়ে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ চিদাম্বরমের।
গরিবদের বঞ্চিত করেছে সরকার
চিদাম্বরমের কথায়, এই বাজেট আদপে ধনীদের, ধনীদের জন্য এবং ধনীদের স্বার্থেই তৈরি করা। এতে বিন্দু মাত্র সুবিধা পাবেন না দেশের গরবীরের। তাঁর যুক্তি, দেশের সেই ১ শতাংশ ধনী মানুষ যাদের কাছে দেশের ৭৩ শতাংশ সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে তাদের স্বার্থ আরও সুনিপুন ভাবে রক্ষা করছে বর্তমান কেন্দ্র সরকার। সরকার এ বার বাজেটে গরিব মানুষের কথা ভাবেইনি।
একের পর এক তোপ চিদাম্বরমের
এমনকী এই বাজেটের জন্য তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি যারা বর্তমানের ভারতের অর্থনীতি দেখভালে দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরও একহাত নিয়েছেন। তোপ দেগেছেন তাদের দূরদর্শিতা নিয়ে। অর্থনীতির লাগাম যাদের হাতে রয়েছে তাদের ব্যর্থতা অযোগ্যতার দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। কার্যত আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের আয় কমে গিয়েছে। রুজিরুটি খুইয়েছেন অনেকে। কিন্তু এই বাজেট আখেড়ে দেশকে কোনও নতুন দিশাই দেখাতে পারছে না!''
রাজস্ব ঘাটতি মেটাতেই নাভিশ্বাস উঠছে সরকারের ?
এমনকী চিদম্বরমের প্রশ্ন, বাজেটে মাত্র ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে আদৌও জিডিপি বৃদ্ধি ২৮ লক্ষ কোটি টাকা বাড়ানোর সম্ভবপর? এমনকী যেখানে বাড়তি ১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হচ্ছে সেখানে তার থেকে কেন মাত্র ৫১ হাজার কোটি টাকা পরিকাঠামোর খরচে রাখা হচ্ছে সেই প্রশ্নও করেন তিনি। এমনকী কেন্দ্রের দিকে খানিক বক্রোক্তি করেই তাঁর প্রশ্ন তবে কি বাকি টাকা রাজস্ব আদায়ে যে ঘাটতি হচ্ছে সেটা মেটাতেই চলে যাবে বলে ভাবছে কেন্দ্র?